এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সাবধান! আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে এবার চোখ দিয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানালেন বিশেষজ্ঞরা!

সাবধান! আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে এবার চোখ দিয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানালেন বিশেষজ্ঞরা!

গোটা বিশ্বজুড়েই এখন একটাই সংকট- কোভিড-19। ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি এখন উঠে পড়ে লেগেছে কিভাবে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তার রাস্তা বার করতে। করোনা ভাইরাস সারাবিশ্বে এমন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এক ভয়াবহ আতঙ্ক। বিশ্বের বড় বড় দেশগুলি করোনা সংক্রমণের ফলে প্রায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। লাখ লাখ লোক প্রায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে হাজার হাজার লোক।

মানবজাতির কাছে এ এক সংকটকাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, চীন থেকে শুরু হয়ে এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের 200 টিরও বেশি দেশে। এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে সেভাবে কোন দেশের কাছেই কোন অস্ত্র নেই। আর সেই কারণেই কিছুতেই মারণ করোনা ভাইরাসের উপর  রাশ টানা যাচ্ছেনা। এই অবস্থায় বিশ্বের তাবড় চিকিৎসক ও গবেষকরা করোনার বিরুদ্ধে একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে সামাজিক দূরত্বকে চিহ্নিত করেছেন।

এছাড়াও চিকিৎসকরা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন, করোনার সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে। তার মধ্যে বারংবার হাত ধোয়া হ‍্যান্ড স‍্যানিটাইজার দিয়ে এবং নাক, মুখ, চোখে হাত না দেওয়ার বিষয়টিও আছে। বারংবার চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষকে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন, যাতে অপ্রয়োজনে যেন কোনভাবেই চোখে হাত না দেওয়া হয়। কারণ গবেষকদের দাবি, শুধুমাত্র হাত দিয়ে নয়, চোখ দিয়েও শরীরে দানা বাঁধতে পারে মারণ ভাইরাস করোনা।

ইতিমধ্যে ব্যাঙ্গালোরের চিকিৎসকগণ স্পষ্ট ভাষায় দাবি জানিয়েছেন, করোনা দেহপ্রবেশ চোখ দিয়েও ঘটতে পারে। তাই চোখ ঢেকে রাখা আবশ্যিকতার মধ্যেই পড়বে। এ প্রসঙ্গে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের দাবি, একজন সাধারণ মানুষ সারা দিনে অন্তত কুড়ি বার চোখে হাত দেন। সেই সূত্র ধরেই চিকিৎসকরা বারংবার সাবধান করছেন সাধারণ মানুষকে। কারণ, করোনা ভাইরাস সবথেকে বেশি থাকে মানুষের হাতের তালুতে। আর সেই হাত দিয়ে যখন চোখে হাত দেওয়া হবে অবশ্যম্ভাবী চোখ দিয়ে খুব সহজে শরীরে প্রবেশ করবে করোনা ভাইরাস।

চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, মুহূর্তের মধ্যে কয়েকগুণ বেশি হয়ে এই ভাইরাস শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। তাই সতর্কতা হিসেবে জনবহুল পথ  বা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যম্ভাবী চোখ ঢেকে রাখতে হবে। তার জন্য চশমা ব্যবহার করা অবশ‍্য প্রয়োজন। চোখে চশমা পড়ে নিলে করোনার সংক্রমণ থেকে চোখকে রক্ষা করা যাবে। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর শংকর নেত্রালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে এই সময় কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের ওপর।

সম্প্রতি শংকর নেত্রালয় থেকে জানানো হয়েছে, যদি চোখে কারোর কন্টাক্ট লেন্স থাকে তাহলে অবশ্যম্ভাবী চোখে বারবার হাত দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাই করোনার মতন ভয়ঙ্কর ভাইরাস থেকে নিজের চোখকে রক্ষা করার জন্য কন্টাক্ট লেন্স ছেড়ে চশমা পড়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। মানুষ ভার্সেস ভাইরাসের এই লড়াইয়ে এই মুহূর্তে মানুষের হাতে কোন অস্ত্র নেই। সারা বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরা দিনরাত এক করে ফেলছেন মারণ ভাইরাস করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য।

কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে ইতিবাচক কিছু জানা যায়নি। আর তাই যতদিন না প্রতিষেধক আসছে, মারণ ভাইরাস করোনার আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সর্তকতা এবং সচেতনতাকেই অস্ত্র হিসাবে হাতে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। আপাতত এই অসম লড়াইতে জেতার জন‍্য অবশ‍্যই চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!