এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বিজেপিতে যোগ দিয়েই ফের তৃণমূলে ফিরতে চান এই হেভিওয়েট যুবনেতা? জোর জল্পনা রাজ্যে

বিজেপিতে যোগ দিয়েই ফের তৃণমূলে ফিরতে চান এই হেভিওয়েট যুবনেতা? জোর জল্পনা রাজ্যে

লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি কার্যত তোলপাড় করে দিয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪২ এ ৪২ করে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার স্বপ্ন চুরমার করে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে যত না আলোচনা, তার থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার ২০২১ পর্যন্ত টিকবে কিনা! কেননা, নির্বাচনের আগে থেকেই এক-দুজন নেতা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেলেও, ফল বেরোনোর পর বিজেপিতে যোগদানের কার্যত লাইন লেগে যায়!

দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে একের পর এক বিধায়ক থেকে শুরু করে কাউন্সিলর বা ছাত্র-যুব নেতাদের বিজেপিতে যোগদান করান কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বা মুকুল রায়রা। কিন্তু, সেই যোগদান প্রক্রিয়া যে হঠাৎ করে থমকে গেছে! শুধু থমকে যাওয়াই নয়, সূত্রের খবর যাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তাঁরা নাকি এবার গুটিগুটি পায়ে তৃণমূলে ফিরে যাবার পরিকল্পনায় আছেন! আর যাঁরা ভাবছিলেন, ‘এই তৃণমূল আর না’, তাঁরাও সবকিছু দেখেশুনে আপাতত দলবদলের মনবাঞ্ছা শিকেয় তুলে মন দিয়ে ‘মা-মাটি-মানুষ’ স্লোগান নতুন করে আওড়াচ্ছেন!

কিন্তু, হঠাৎ করে কি এমন হল, যেখানে মুকুল রায় বা অর্জুন সিংয়ের মত নেতা তো বটেই, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করছিলেন যে নির্বাচন মিটলেই অন্তত ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করবেন! বা ১০০-এর বেশি তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে আসবেন আর মমতা ব্যানার্জির সরকারের পতন হবে! সেখানে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দলে নিতে এত অনীহা কিসের? সূত্রের খবর, শুরুটা হয়েছিল মনিরুল ইসলামের যোগদান ঘিরে! তাঁর যোগদানে দলের মধ্যে এমন বিতর্ক শুরু হয় যে, তিনি পদত্যাগ করার কথাও ভেবেছিলেন! কোনোরকমে সেই বিতর্ক থামলেও, আপাতত গেরুয়া-স্বপ্ন পরিত্যাগ করে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক যুবনেতা ফিরতে চলেছেন তৃণমূলে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সদ্য প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি ও বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধক্ষ্য শান্তনু কোনার। কিন্তু, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, ন্যূনতম সম্মান তো দূরের কথা, জেলা নেতাদের একটা ফোন পর্যন্ত নাকি তিনি পাননি। একসময় মরিয়া হয়ে, নিজেই ফোন করেন জেলা বিজেপি নেতাদের। সেখানে নাকি তাঁকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়, আগে তাঁর বিজেপিকরণ হবে। বিজেপির মতাদর্শ ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত ক্লাস নেওয়া হবে। তার পরেই তাঁকে দেওয়া হবে কোনো সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব। আর এইসব দেখেশুনে, আপাতত শান্তনুবাবু নাকি ফিরতে চলেছেন তৃণমূলেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই তিনি তৃণমূলে পুনরায় যোগ দেবেন।

গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এই নিয়ে কঠোর অবস্থান। তাঁদের মতে, সিপিএমের অত্যাচারে মানুষ দিশেহারা হয়ে এই রাজ্যে পরিবর্তন করে তৃণমূলকে এনেছিলেন। কিন্তু, তৃণমূলের অত্যাচার বর্তমানে সিপিএমের সেই অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গেছে, ফলে রাজ্য আবার একটা পরিবর্তনের পরিবর্তন চাইছে। গত লোকসভা ভোটেই তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলার মানুষ। আর তাই দেখে, অনেকেই নিজেদের সুবিধা ও স্বার্থে এখন গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চাইছে। কিন্তু, এদের মধ্যে অনেকেই আছে, যাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই! ফলে এইসব দলবদল নিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন উঠছে।

গেরুয়া শিবিরের ওই নেতা আরও জানান, সাধারণ মানুষ স্পষ্টতই প্রশ্ন তুলছেন, যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকায় বিজেপিকে ভোট দিয়েছি, তারাই তো এবার দলবদলে বিজেপির হয়ে একই জিনিস করবে! তাছাড়া মনে রাখতে হবে, আমাদের দলে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম, নীতি, নিষ্ঠা, আদর্শ রয়েছে – এটি কোন আঞ্চলিক দল নয়। ফলে, বিজেপি করতে গেলে বিজেপির ভাবাদর্শ ভালোভাবে জেনে ও মেনে তবেই বিজেপি করা যাবে। আমাদের কাছে আগে দল, পরে ব্যক্তি। অন্য দলের থেকে আমরা অনেক বেশি শৃঙ্খলাপরায়ণ। সুতরাং, বিজেপিতে যোগ দিতে গেলেই যেমন যোগ দেওয়া যাবে না – আবার যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের দলে থাকতে গেলে, আগে নিজেদের বিজেপিকরণ করতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!