এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যুব-মাদারের তীব্র দ্বন্দ্বে অশান্তি তৃণমূল পরিবারে? ‘পিঠ বাঁচাতে’ চুপিসারে অন্য দলে অনেকেই?

যুব-মাদারের তীব্র দ্বন্দ্বে অশান্তি তৃণমূল পরিবারে? ‘পিঠ বাঁচাতে’ চুপিসারে অন্য দলে অনেকেই?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজকের নয়, বহুদিনের। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীকোন্দল বন্ধ করতে বহুবার, বহুভাবে আবেদন নিবেদন করে গেছেন। কিন্তু তাঁর কথা যে কোনভাবেই দলের নিচুস্তরের কর্মীরা কানে নেয় না সে কথা বারে বারে প্রমাণ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। আর এই গোষ্ঠী কোন্দলকে নিয়েই তৃণমূল শিবির যে বারবার বিতর্কের সম্মুখীন হচ্ছে, সে কথা এককথায় মেনে নিচ্ছেন তৃণমূল শিবিরের অনেকেই। বাসন্তী অঞ্চলের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহুল পরিচিত।

বারবার এই এলাকার গোষ্ঠীকোন্দলের কথা সামনে আসায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার সকালে ক্যানিংয়ের দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। কিন্তু বৈঠকই সার। রাতের মধ্যেই আবার শুরু হল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর চরম বিবাদ। আর এই বিবাদ বড় আকার ধারণ করল বাসন্তীর শিমুলতলা এলাকায়। সূত্রের খবর, গুলি বোমাবাজিতে যুব তৃণমূলের দুই কর্মী ব্যাপকভাবে জখম হয়েছেন। তাঁদেরকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে একটি ওয়ান শাটার বন্দুক উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার যুব তৃণমূল ও তৃণমূল দলের মধ্যে ব্যাপক আকারে বোমাবাজি ও গুলির লড়াই হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাসন্তী ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা আমানুল্লা লস্কর পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এলাকার তৃণমূল নেতা আবদুল মান্নান গাজীর ছেলে রাজা গাজীর নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে। অন্যদিকে রাজা গাজী তাঁর প্রতি ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আবার পাল্টা  বলেন, যুব তৃণমূল কর্মীরা এলাকার মানুষকে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছিলো।

তাই সাধারণ মানুষই তাঁদেরকে মারধর করেছে। এই ঘটনার পর অবশ্য জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর তরফ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে বাসন্তী, শিমুলতলার পাশাপাশি ভাঙড়েও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর শোনা গেছে। জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের পদ্মপুকুর গ্রামে কয়েকজন যুব তৃণমূল কর্মীর বাড়ি, মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ ওঠে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের দিকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি বাদল মোল্লার ওপর হামলা করার অভিযোগে ভাঙ্গড় 1 এ ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাইজার আহমেদ ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর থেকেই অবশ্য কাইজার এলাকাছাড়া। ভাঙড়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, বুধবার রাত দশটা নাগাদ বাসন্তী হাইওয়ে লাগোয়া পদ্মপুকুরে মিঠু মোল্লার রাবারের গোডাউনে আগুন লাগে। প্রসঙ্গত, মিঠু মোল্লা কাইজারের অনুগামী হিসেবে পরিচিত এলাকায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই মিঠু মোল্লা অভিযোগ করে যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এর কিছু পরেই মিঠু মোল্লা, কালু মোল্লা সহ 50-60 জনের একটি দল পাল্টা এলাকার যুব তৃণমূল কর্মী আতিয়ার মোল্লা, জাকির মোল্লা, মোজাম মোল্লা সহ বেশকিছু জনের বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কাইজার পাল্টা বলেছেন, তিনি বর্তমানে এলাকায় নেই এবং তাঁর দলের কোন লোক এই ঘটনায় জড়িত নয়। তবে তিনি জানান, ভাঙড়ে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সাথে যুব তৃণমূলের গন্ডগোল হয়। আর সে কারনেই হয়তো এই ঘটনা।

ঠিক একইভাবে যুব তৃণমূল কর্মীরাও কাইজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, কাইজার অনুগামী তৃণমূল কর্মীরাও বর্তমানে পিঠ বাঁচাতে যোগ দিচ্ছেন আব্বাস সিদ্দিকীর দলে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকা রীতিমতো থমথমে। অন্যদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল যে তুলনায় দিন দিন বেড়ে চলেছে, তা কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে অবশ্যম্ভাবী বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে। আর সেক্ষেত্রে দলের রাশ টানা অবশ্যই প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বরা পরিস্থিতি সামাল দিতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, সে দিকেই নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!