এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দলের “যুব” ভাইয়ের হুমকি, ভয়ে কাঁটা তৃনমূলের নির্বাচিত প্রধান, উপপ্রধান

দলের “যুব” ভাইয়ের হুমকি, ভয়ে কাঁটা তৃনমূলের নির্বাচিত প্রধান, উপপ্রধান

রাজ্যে রমরমা বাজার ঘাসফুলের। একের পর এক পঞ্চায়েতে সাফল্যের সাথে বোর্ড গঠন করেছে তাঁরা। কিন্তু এই ভরা সমর্থন থাকলেও দিন যত যাচ্ছে ততই যেন দলের ভেতরের অনৈক্যই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। শাসকদলের যুব বনাম মূল সংগঠনের লড়াইয়ে এখন উত্তপ্ত বিভিন্ন এলাকা। এবার সেই লড়াইয়ের সাক্ষী হয়ে থাকল হুগলীর খানাকুল 2 ব্লকের ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েত।

জানা গেছে, এই পঞ্চায়েতে এবার প্রধান পদটি তপসিলি মহিলা সদস্যার জন্য সংরক্ষিত থাকলে সেখানে কে যুব নাকি মাদার থেকে প্রধান হবে তা নিয়ে তৃনমূলের মধ্যেই শুরু হয় তীব্র চাপানউতোর। পরিস্থিতি সামলাতে স্থানীয় বিধায়ক ইকবাল আহমেদ 15 টি আসনের মধ্যে মূল সংগঠনকে 9 টি এবং যুবকে 6 টিতে লড়তে নির্দেশ দেন। আর এরপর সমস্ত আসনেই তৃনমূল জিতলে ঠিক হয়যে এখানে প্রধান হবে শাসকদলের মূল সংগঠন থেকে এবং উপপ্রধান হবে যুব সংগঠন থেকে। কিন্তু বাস্তবে এই প্রধান হন মূল সংগঠনের বীনাপানি ভৌমিক এবং উপপ্রধান হন সেই মূল সংগঠন থেকেই বিগত বোর্ডের প্রধান দিলীপ সানকি।

আর এই ঘটনায় মূল সংগঠনের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেনি দলেরই যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতা কর্মীরা। জানা গেছে, চলতি মাসের 18 তারিখে বোর্ড গঠনের পর থেকেই যুব এবং মাদারের গন্ডগোলে শিকেয় উঠছে পঞ্চায়েতের পরিষেবা প্রদান। “পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোড়া করে দেব”-কার্যত এমন সুরেই প্রধান এবং উপপ্রধানকে হুমকি দিচ্ছেন দলের যুব সংগঠনের কর্মীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে এই ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান বীনাপানি ভৌমিক বলেন, “এমন ভয়ে ভয়ে কাজ করে কী করব? আমরা নিরাপত্তার দাবি করছি।”

কিন্তু ঠিক কীসের ভয় পাচ্ছেন তাঁরা? এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে গত বোর্ডের প্রধান তথা বর্তমানে উপপ্রধান দিলীপ সানকি বলেন, “বোর্ড গঠনের পর গত 20 সেপ্টেম্বর থেকে এলাকায় দলের যোব সংগঠনের সদস্যরা তান্ডব চালানোয় আমরা পঞ্চায়েতে ঢুকতে পারছি না।” বিষয়টি দলের জেলা নেতাদের জানানো হয়েছে বলেও এদিন জানান সেই দিলীপ সানকি। কিন্তু সামান্য উপপ্রধান পদ না পাওয়াতেই কেন দলের সদস্যদেরই এরুপ হুমকি দিচ্ছে যুব সংগঠন? এতে কি আদতে দলেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃনমূল যুবর অঞ্চল সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, “আগের বোর্ডের প্রধান দিলীপ সানকি দলীয় নির্দেশ না মেনে এবার উপপ্রধান হয়েছেন। বোর্ড গঠনের পর দুপুর 12 টা নাগাদ ওদের লোকেরাই আমাদের লাঠি এবং রড দিয়ে মারধর শুরু করে। এ সব কিছুর সমাধান হলে আমরা ওঁদের পঞ্চায়েত ঢুকতে হবে না।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে এই কারনে পঞ্চায়েতে প্রধান এবং উপপ্রধান না আসায় 100 দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, বিধবা-বার্ধক্য ভাতা সহ একাধিক প্রকল্পের কাজ থমকে পড়ায় অসুবিধে পড়েছে বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে এদিন খানাকুলের বিডিও দেবল উপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের সাহায্যে প্রধান, উপপ্রধান এবং অন্যান্য সদস্যদের পঞ্চায়েত অফিসে পৌছে দেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

কিন্তু দলেরই মাদার এবং যুব সংগঠনের লড়াই আটকাতে কি ব্যাবস্থা নিচ্ছে শাসকদল? এই ব্যাপারে জেলা তৃনমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, “এলাকায় অশান্তি বা উন্নয়নের কাজে কেউ বাধা দিলে পুলিশ কঠোর ব্যাবস্থা নেবে।” সব মিলিয়ে এবার বোর্ড গঠন করেও যুবর বিদ্রোহে সেখানে ঢুকতেই পারছেন না দলেরই মূল সংগঠনের প্রধান এবং উপপ্রধানরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!