Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

উত্তরবঙ্গে রক্তাক্ত বিজেপি সাংসদ, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যপাল! বড় সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা!

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বারবার এই রাজ্যের হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এই রাজ্যের বুকে এমন কিছু ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যা রীতিমত মারাত্মক। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে আগেও দাবি করা হয়েছিল যে, এবার রাজ্যে কেন্দ্রীয় শাসন প্রয়োগ করে পুলিশ প্রশাসনের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হোক। তা না হলে এই রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব হবে না। তবে বারবার করে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে রিপোর্ট পাঠানো হলেও, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি এই রাজ্যের বুকে ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ ঘটনা। যেখানে উত্তরবঙ্গে বন্যা বিপর্যয় ত্রাণ দিতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে। আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আর সামনেই যখন বিধানসভা নির্বাচন, তখন তার আগে বিজেপির এই দুই জনপ্রতিনিধির ওপর যেভাবে আক্রমণ নেমে এসেছে, তা নিয়ে কি কেন্দ্র বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে? বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কি রাজ্যে জারি হয়ে যাবে রাষ্ট্রপতি শাসন? বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন এই সমস্ত দাবি তোলা হচ্ছে, ঠিক তখনই জল্পনা বাড়িয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। আর এই সাক্ষাৎ ঘিরেই নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

 

 

 

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে ত্রাণ দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। যেখানে তার রক্তাক্ত চেহারার দৃশ্য সামনে আসার পর থেকেই রীতিমত গোটা বাংলা তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, এরপরেও কেন্দ্র চুপ করে বসে থাকবে? কেন এই রাজ্যে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করার মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না? এভাবেই যদি সন্ত্রাস চালাতে থাকে এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, তাহলে কিভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে পশ্চিমবঙ্গে? আর তার মধ্যেই আজ যেভাবে উত্তরবঙ্গের ত্রাণ দিতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির কাছে ঠিক কি প্রস্তাব দিলেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান? তাহলে কি বিরোধীদের পক্ষ থেকে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করার জন্য যে সমস্ত আওয়াজ তোলা হচ্ছে, সেই ব্যাপারেই কি দেশের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে রিপোর্ট পেশ করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান?

 

 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে ঘটনা পরম্পরা ঘটছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গোটা বিষয়টি নিয়ে যে তৃণমূল যথেষ্ট চিন্তিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা উত্তরবঙ্গের এই ভয়াবহ ঘটনার পরেই যেভাবে বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে, তা নিয়ে কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনিও সোচ্চার হয়েছেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই যখন বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলায় পুলিশের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হোক এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক বলে দাবি করা হচ্ছে, তখন রাজ্যপাল যেভাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন, তা অত্যন্ত চর্চার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গে এবার সেই দিন আসতে চলেছে, যখন পুলিশ প্রশাসনের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় শাসন লাগু করা হবে? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে উত্তরবঙ্গে বিজেপির সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার পর যেভাবে রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন, তাতে তিনি কি রিপোর্ট জমা দিলেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে এই রাজ্যের জন্য কোনো বড়সড় অ্যাকশন অপেক্ষা করছে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version