প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে অবশেষে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। আর এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যাদের সব থেকে বড় ভূমিকা রয়েছে, তারা হচ্ছেন বুথ লেভেল অফিসার। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা বেশ কিছু নাম সামনে এনেছেন। যেখানে তারা অভিযোগ করছেন যে, এই বুথ লেভেল অফিসাররা তৃণমূলের পদাধিকারী। তাই তাদেরকে বিএলও পদ থেকে সরাতে হবে। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে কড়া নজরদারি রেখেছে কমিশন। তবে কাজ করতে গিয়ে তারা বিপদে পড়তে পড়েন, এইরকম আশঙ্কা অনেক বিএলওদের মধ্যে রয়েছে। যার ফলে অনেকেই এখনও পর্যন্ত নিয়োগপত্র গ্রহণ করেননি। তবে আজ বেলা ১২ টার মধ্যে নিয়োগপত্র গ্রহণ না করলে যারা বিএলও হিসেবে নিয়োগ পত্র নেননি, তাদের সাসপেন্ড করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিএলওদের নিয়োগপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকেই কাজ করতে গিয়ে ভয় পাচ্ছেন। কেননা তাদের অনেকের মধ্যেই আশঙ্কা গ্রাস করেছে যে, যদি তারা নিরপেক্ষ সহকারে কাজ করতে শুরু করেন এবং সেক্ষেত্রে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাদের ওপর বিপদ নেমে আসে, তাহলে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কারা নেবেন! ইতিমধ্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে বিএলও এবং বিএলএ টু দের নিরাপত্তার দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশন নেয়, তার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪৩ জন বুথ লেভেল অফিসার নিজেদের নিয়োগপত্র গ্রহণ করেননি। তবে সেই ব্যাপারেই এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে সমস্ত বিএলওরা নিয়োগপত্র গ্রহণ করেননি, তাদের ক্ষেত্রে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় জেলা শাসকদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। যেখানে জানানো হয়েছে, আজ বেলা ১২ টার মধ্যে যারা এখনও পর্যন্ত বিএলও হিসেবে নিজেদের নিয়োগ পত্র নেননি, তাদের নিয়োগপত্র গ্রহণ করতে হবে। আর যদি তারা নিয়োগপত্র না নেন, তাহলে তাদের সাসপেন্ড করা হবে। অর্থাৎ এতদিন শোকজের মধ্যেই আটকে ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এবার এসআইআর প্রক্রিয়াকে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিএলওরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে নিয়োগপত্র গ্রহণ করেননি, তারা যাতে নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন, তার জন্য সাসপেন্ডের মত কড়া সিদ্ধান্ত আনতে চলেছে কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই ১৪৩ জন বিএলও, যারা এখনও পর্যন্ত নিয়োগ পত্র নেননি, তারা কমিশনের এই কড়া সিদ্ধান্তের পর আজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
