প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ভোটের দামামা না বাঁজলেও এবং নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, ভোট আসছে। এসআইআরকে কেন্দ্র করে এমনিতেই রাজনৈতিক উত্তাপে ফুটছে বাংলা। আর তার মধ্যেই বিগত ১৫ বছর তার সরকার রাজ্যের উন্নয়নে কি কি কাজ করেছে, আজ তার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে “উন্নয়নের পাঁচালী” বলে সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। তবে নবান্ন থেকে ১৫ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ করতেই পাল্টা এই উন্নয়নের পাঁচালীকে জলাঞ্জলীর পাঁচালী বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আজ যখন মালদায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সেই সময়ই নবান্নে বিগত ১৫ বছর তার সরকার রাজ্যের উন্নয়নে কি কি কাজ করেছে, তার তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে উন্নয়নের পাঁচালী বলে সম্বোধন করছে রাজ্যের শাসক দল। তবে এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কি প্রতিক্রিয়া, তা জানতে উদগ্রীব ছিলেন গোটা বাংলার মানুষ। অবশেষে মালদহ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর এই উন্নয়নের পাঁচালীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ১৫ বছরের যে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন এবং যাকে উন্নয়নের পাঁচালী বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে পাল্টা মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “মিথ্যাচার। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের পাঁচালী নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে দুর্নীতি, তোষন আর সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার পাঁচালী মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন। আমরা বলি, এটা জলাঞ্জলির পাঁচালী। পশ্চিমবঙ্গ, বাংলার গৌরব, সংস্কৃতি, মায়ের গৌরব, কন্যার সুরক্ষা, আপনার হাতেই জলাঞ্জলি হয়েছে।”
