প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের লক্ষ্যে লড়াই করেছিল বিজেপি। কিন্তু ৭৭ এই আটকে গিয়েছিল পদ্ম শিবির। তবে এবার একদিকে এসআইআরের প্রভাব, আর অন্যদিকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের আমলে যে চুরি, দুর্নীতি হয়েছে, যেভাবে নারী নির্যাতন হচ্ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিবর্তন আনবে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সভা থেকে সেই দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। দিন রাত এক করে পরিশ্রম করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, ২১এর পুনরাবৃত্তি হবে না তো? ২১ এ নন্দীগ্রাম পথ দেখিয়েছে গোটা রাজ্যকে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো গিয়েছে, সেখানে রাজ্যের অন্যান্য বিধানসভায় কেন তৃণমূলের অন্যান্য প্রার্থীদের পরাজিত করা যাবে না? তবে এই প্রশ্নে বিজেপি কর্মীরা উজ্জীবিত হলেও, শেষ পর্যন্ত বিজেপি তাদের সাংগঠনিক কৌশলকে কাজে লাগিয়ে কতটা সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবে, সেটা সময় বলবে। আর এসবের মধ্যেই রাজ্যে পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি যে অত্যন্ত আশাবাদী, তা স্পষ্ট করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কিছুক্ষণ আগেই নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গোটা রাজ্যের মানুষ যারা পরিবর্তন চাইছেন, তারা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির যারা নেতারা রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাদের মনোভাব বুঝতে চাইছেন। রাজ্যের সাধারণ মানুষ বুঝতে চাইছেন যে, বিজেপি কতটা কনফিডেন্ট ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে? কারণ বিজেপি নেতাদের কাছে যে গোপন খবর থাকে, সেটা তো রাজ্যের আর চার, পাঁচটা সাধারণ মানুষের কাছে থাকে না। ফলে শুভেন্দু অধিকারী প্রতিনিয়ত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যখন লড়াই দিচ্ছেন, তখন তিনি গ্রাসরুটের অনেক খবর রাখেন। তাই তিনি কতটা সিওর যে, বিজেপি রাজ্যে এবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে? আর এসআইআরের পরবর্তী পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের দেখানো পথেই যে গোটা রাজ্য এবার হাঁটবে, আর এটা যে তার বিশ্বাস, তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন নন্দীগ্রামে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামে বিগত দিনে টাউন ক্লাবে পেট্রোল মারা হয়েছে, ককটেল মারা হয়েছে। এগুলো নন্দীগ্রামের মানুষ আগে দেখেনি। এই জিনিস কারা আমদানি করেছে? গোকুলনগরে, যেখানে একটাও সংখ্যালঘু মানুষ বসবাস করেন না, সেখানে পর্যন্ত বাইক নিয়ে গিয়ে তেখালি বাজারে তিনটে হিন্দুর বাড়ি লুট করে আনা হয়েছিল। এসব মানুষ ভুলে যায়নি। এত সহজে এসব ভোলার জিনিস নয়। দেবব্রত মাইতি বা রথীবালা আড়ির মৃত্যু, অত্যাচার, এত সহজে মানুষ ভুলতে পারবে না। তাই এখানকার মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। বাংলার মানুষও আমাদের সঙ্গে আসবে। নন্দীগ্রাম পথ দেখিয়েছে। ২১ এ নন্দীগ্রামের দেখানো পথে ২৬ এ গোটা পশ্চিমবঙ্গ হাঁটবে। এই বিশ্বাস আমার আছে।”
