Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

২৬ এর আগে ফের রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা! আন্দোলনকারীদের উৎসাহ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু! আরও চাপে মমতা?

 

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের সরকার কোনো শিক্ষিত যুবক যুবতীদের চাকরি দেবে না। আবার নতুন করে এসএসসি হলেও প্রথম থেকেই এই পরীক্ষা যে শুধুমাত্র প্রহসনের পরীক্ষা, সেই দাবি করে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যারা বঞ্চিত, যারা মেধাযুক্ত চাকরি প্রার্থী, তাদের প্রত্যেকের কাছে শুভেন্দুবাবু একটাই অনুরোধ করেছেন যে, আগে এই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করুন, তা না হলে আপনাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। আর সামনেই যখন দরজায় কড়া নাড়ছে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক তখনই ফের আজ উত্তাল হয়ে উঠেছিল শহর কলকাতা। যেখানে এসএসসির নয়া চাকরি প্রার্থী থেকে শুরু করে প্রচুর যুবক-যুবতী রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন নিয়োগের দাবিতে। স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের আগে শহর কলকাতায় শিক্ষিত যুবক, যুবতীদের এই আন্দোলন যে সরকারের চাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এবার সেই আন্দোলনকারীদের দ্বিগুণ উৎসাহিত করে “নো ভোট টু মমতা” করার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের কাছে কয়েকটি বড় বড় ইস্যু রয়েছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে অন্যতম নিয়োগ দুর্নীতি। বারবার করে এই সরকারের অস্বচ্ছতা এবং সেই নিয়োগ দুর্নীতির কারণে প্রচুর নেতা, মন্ত্রীর জেল যাত্রা সামনে এসেছে। অনেক নিয়োগ এখনও পর্যন্ত আটকে রয়েছে। আবার নতুন করে এসএসসি হলেও যারা নয়া চাকরিপ্রার্থী, তাদের মধ্যে অনেকে পুরো নম্বর পেলেও ভেরিফিকেশনে ডাক পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে এই নয়া পরীক্ষার পরেও অস্বচ্ছতার বিষয়ে অনেকেই সরব হচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে আজ ফের শহর কলকাতায় জোরালো আন্দোলন শুরু হতেই শাসকের চাপ বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই শহর কলকাতায় যেভাবে শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় নেমেছে, সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত আন্দোলন। আন্দোলন তীব্র করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর বেশিদিন ক্ষমতায় নেই। এই সময় আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসকে আগামী নির্বাচনে পরাস্ত করা। নো ভোট টু মমতা, এই আওয়াজ সর্বত্র তুলতে হবে।”

Exit mobile version