প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন তৃণমূল নেতারা ভাবতেন যে, তাদের কাছে তো সংখ্যালঘু ভোট আছে। আর যখন সংখ্যালঘু ভোট আছে, তখন কিছু হিন্দুদের ভোট নিয়ে এবং সংখ্যালঘুদের বেশিরভাগ ভোটটা নিয়েই তারা জিতে যাবেন। এমনকি কিছুদিন আগে পর্যন্ত তৃণমূল নেতারা নিশ্চিত ছিলেন যে, বিজেপি যতই লাফালাফি করুক, যতই তারা হিন্দুদের একত্রিত করুক, তারা সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে চতুর্থ বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বাংলার বর্তমানে যে রাজনৈতিক চিত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সংখ্যালঘুরা কিন্তু ধীরে ধীরে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। আইএসএফ এতদিন সেভাবে থাকলেও, তারা দুই একটি জায়গা ছাড়া তেমনভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। তবে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর হুমায়ুন কবীর যেভাবে নতুন দল গঠনের কথা বলছেন এবং যেভাবে সংখ্যালঘুদের একত্রিত করার চেষ্টা করছেন, তাতে পরিস্থিতি যে ঘুরতে শুরু করেছে, তা বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেতারাও। তৃণমূল যে সংখ্যালঘু ভোট পেয়ে এতদিন ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেছিলো, এবার তাদের সেই স্বপ্ন যে জলে যেতে চলেছে, বীরভূম থেকে সাংবাদিক বৈঠকে সেই বিষয়টি উল্লেখ করেই মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রনা বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বর্তমানে একদিকে হুমায়ুন কবীর, আর এক দিকে মিম এবং আর একদিকে আইএসএফ রীতিমতো নিজেদের ভোটব্যাংক শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। আর এই তিন দল যদি একত্রিত হয়ে যায় এবং তারা যদি সংখ্যালঘুদের একত্রিত করে, তাহলে যে তৃণমূলের ভোটব্যাংকে বড় ধাক্কা আসতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই কি এখন রীতিমত চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন এই রাজ্যের শাসক দলের নেতারা? অস্থির হয়ে উঠছেন ক্ষমতা দখল করতে না পারার আতঙ্কে? এদিন সেই কথাই উল্লেখ করে এতদিন আদিবাসী থেকে শুরু করে হিন্দুরা তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও, এবার তৃণমূল যে ভোটব্যাংকের ওপর ভর করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেছিলো, সেই সংখ্যালঘুরাও তাদের থেকে সরে গিয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেন, “হিন্দু এবং আদিবাসীরা অনেকদিন আগেই তৃণমূলের থেকে সরে গিয়েছে। কিন্তু এবার মুসলিমরাও সরে গিয়েছে। তবে তারা বিজেপিকে দেবেন কিনা জানি না। কিন্তু অনেকেই হুমায়ুন, মিম এবং নওশাদের দিকে ঝুঁকেছেন। এখন মমতা ব্যানার্জির ওই গ্রামের কথায় বলে না, জাল আর গামছা দুটোই গেছে। তাই এখন মিথ্যে মামলা, অস্ত্র এবং চোখ রাঙানি এর বাইরে আর কিছু নেই।”
