Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

আদালতের নির্দেশে ভাতার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ! “জেনেই এই কাজ করেছে রাজ্য” পাল্টা শমীক!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেল বাতিল হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশে আবার নতুন করে সকলে পরীক্ষা দিলেও শিক্ষা কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরি হারাদের জন্য একটি ভাতার ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি আদালতে গেলে আদালত থেকে সেই ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। আর গতকাল সেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করে দেয় তারা। যেখানে ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো ভাতা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য এর ফলে অত্যন্ত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে রাজ্য জেনে বুঝেই এইসব ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে পাল্টা খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

গতকালই খবর আসে যে, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরি হারাদের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে যে ভাতার ঘোষণা করা হয়েছিল, তাতে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে আদালত। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো ভাতা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে চাকরিহারা শিক্ষা কর্মীদের মন গলানোর জন্য এই সমস্ত ভাতা দিলেও, শেষ পর্যন্ত লাভের লাভ কিছু হলো না। বরঞ্চ আদালতের যে নির্দেশ, তার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের দফারফা হয়ে গেল এবং রাজ্য উল্টে চাপে পড়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

এদিন এই ব্যাপারে শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এটা রাজ্য সরকারের জানাই ছিল। সাধারণ আইনের ছাত্রও এটা জানে। যাদের আইনের সঙ্গে দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক নেই, তারাও এটা জানেন। এরকম অবাস্তব কোনো সিদ্ধান্ত সরকার যদি নেয়, সেটা কোর্টে গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা জানাই ছিল। এটা জেনেই, সচেতনভাবেই আমাদের আইনজীবী মুখ্যমন্ত্রী একটা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, বার্তা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এতে চিড়ে ভিজবে না।”

Exit mobile version