Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

আদালতে একের পর এক ধাক্কা সহ্য হচ্ছে না মমতার! বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর সাধারণ মানুষের যেমন ভরসা নেই, তারা যেমন বিরক্ত, ঠিক তেমনই আদালত বুঝতে পারছে যে, এই রাজ্যে কি চলছে! সেই কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনি জটে ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্য সরকার। অনেকে বলছেন, সরকারের থেকেও বলা ভালো তৃণমূল কংগ্রেস দল। কারণ এই রাজ্যে প্রশাসন এবং তৃণমূল দলের মধ্যে আলাদা কিছু নেই। সবটাই দলীয় তন্ত্রে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি বিরোধীদের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়েই কি এবার আইনি জটে যেভাবে একের পর এক ধাক্কা আসছে, তা সামাল দিতে তৃণমূলের লিগাল সেলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হলো নয়া মুখকে।

জানা গিয়েছে, এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে জানানো হয়, তৃণমূলের আইনি সংগঠনের দায়িত্বে বসানো হলো রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। বলা বাহুল্য, এতদিন এই সংগঠনের মাথায় ছিলেন মলয় ঘটক। কিন্তু এবার তাকে সেই জায়গা থেকে সরিয়ে অত্যন্ত আস্থাভাজন চন্দ্রিমা দেবীকেই দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের দাবি, এই সমস্ত কিছু পরিবর্তন করে লাভের লাভ কিছু হবে না। কারণ আদালত খুব ভালোমত জানে, তৃণমূল সরকার মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। তাই আইনি সংগঠনের মাথায় কাকে বসানো হচ্ছে, তা নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই। আর তৃণমূল দলের আইনি সংগঠন, এতো গরুর গাড়ির হেডলাইটের মত। আজ রাজ্যে আদালত আছে বলেই মানুষ সুবিচার পাচ্ছেন। তা না হলে এই রাজ্যকে এখন অন্ধকারের গর্ভে তলিয়ে যেতে হত। তাই তৃণমূল কোথায় পরিবর্তন করছে, তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আগামী দিনে সংবিধানের ওপর ভরসা রেখেই সাধারণ মানুষ এই রাজ্য সরকারকে বিদায় জানাবে বলেই দাবি করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহার্ঘ ভাতা থেকে শুরু করে ২৬ হাজার চাকরি, সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক মামলায় বেনজির ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। যা কোনোমতেই হজম হচ্ছে না নবান্নের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের আইনি সেলকে এবার নতুন করে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছেন। চেষ্টা করছেন, যাতে আইনি পথে আর ধাক্কা খেতে না হয়। কিন্তু এসব করে আদৌ কি কোনো লাভ হবে? মলয়বাবুর জায়গায় চন্দ্রিমাদেবী দায়িত্বে এসে কি এমন জাদু করবেন, যাতে আইন আদালত সবকিছুতেই তৃণমূলের পক্ষে যায়? গোটা বিষয়ের ওপর অবশ্যই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

Exit mobile version