Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

আক্রান্ত জনপ্রতিনিধিদের পাশে বিজেপি, শুভেন্দুর পর খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে সুকান্ত!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে যে আইনের শাসন একেবারেই নেই, তা উত্তরবঙ্গের ত্রাণ কার্যে সামিল হতে গিয়ে দুই বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার ফলে রীতিমত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে যে, তৃণমূল কংগ্রেস একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে দিয়ে কিভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর এবং বিজেপির জনপ্রতিনিধির ওপর হামলার রাস্তা বেছে নিয়েছে। আর এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে কি করে হবে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন? সাংসদ, বিধায়কদের ওপরেই যদি এই আক্রমণ হয়, তাহলে বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের ওপর কিভাবে আক্রমণ হচ্ছে, তা খুব সহজেই অনুমেয়। তাই দল হিসেবে বিজেপি প্রতিরোধের রাস্তা কবে বেছে নেবে, কবে তারা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা তৃণমূলকে সবক শেখানোর মতো রাস্তায় হাঁটবে, সেই প্রশ্ন দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে দল হিসেবে বিজেপি হামলা হওয়া জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদের পাশে যে সবসময় রয়েছে, তার প্রমাণ দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা।

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ত্রাণ কার্যে শামিল হতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধি। যেখানে ব্যাপক হামলায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে। তার চোখের নিচের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। তবে এই গোটা বিষয়টিকে বিজেপির রাজ্য থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় নেতৃত্ব যে মোটেই ভালো মত নেননি, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পোষ্টের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। গতকালই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজেজু উত্তরবঙ্গে এসে আক্রান্ত দুই জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছেন, তাদের শরীর স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন। তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। আর আজ সাত সকালেই শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়ে আক্রান্ত খগেন মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

আজ সাত সকালে শিলিগুড়িতে পৌঁছে যান বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। যেখানে শিলিগুড়ির যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, সেখানে তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন তিনি। তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন, তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার সহ গোটা বিজেপি পরিবার যেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন, তাতে বিজেপি যদি এই মানসিকতা বজায় রেখে আগামী দিনে লড়াই করতে পারে তাহলে ঐক্যবদ্ধ দলের চেহারা যেমন সামনে আসবে, ঠিক তেমনই কর্মীদের মধ্যেও মনোবল বৃদ্ধি পাবে যে, তারা আক্রান্ত হলে নেতারা সবসময় তাদের পাশে রয়েছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version