Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“আমাদের সৌভাগ্য বিচারপতি সেজে কেউ হাসপাতালে ঢোকেনি….” হঠাৎ কেন এমন মন্তব্য শমীকের!  

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যেভাবে নারী নির্যাতনের খবর সামনে আসছে, তাতে সমাজের সর্বস্তরে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অভিভাবক, অভিভাবিকারাও চিন্তার মুখে পড়েছেন যে, বাড়ির মেয়েকে তারা কি করে কর্মস্থলে একা ছাড়বেন? যেভাবে হাসপাতালের ভেতরে পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপদ নয়, যেভাবে কিছু অসৎ ব্যক্তি বিভিন্ন ছলচাতুরি প্রয়োগ করে বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ করে মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট করছেন, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে, সরকারি জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদাসীনতা নিয়ে। ইতিমধ্যেই উলুবেড়িয়া থেকে শুরু করে এসএসকেএম হাসপাতালের ভেতরে নারী নির্যাতনের খবর সামনে এসেছে। যেখানে সেই এসএসকেএম হাসপাতালের মত হাসপাতালে কর্মরত না থাকা সত্ত্বেও এক ব্যক্তি যেভাবে সেই হাসপাতালের পোশাক পড়ে ভেতরে ঢুকে একজন নাবালিকার যৌন নিগ্রহ করেছেন, তার ফলে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে যে, এই রাজ্যে মহিলাদের সম্ভ্রম রক্ষা করার মত মানসিকতা অন্তত প্রশাসনের নেই। তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। আর তার মাঝেই দুষ্কৃতীদের একটা বড় অংশ যেভাবে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে মহিলাদের ইজ্জত নষ্ট করছেন, তাদের মান সম্মান নিয়ে খেলছেন, তাতে সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই মুখ খুলে রীতিমত চমকে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

বলা বাহুল্য, যত সময় যাচ্ছে, ততই এই রাজ্যে নারী নির্যাতনের খবর আরও বেশি করে সামনে আসছে। স্বাভাবিক ভাবেই যে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, যিনি এত বড় বড় কথা বলেন, যিনি দাবি করেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সবথেকে নিরাপদ, তার সরকারের আমলে কেন বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের ভেতরে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসা করাতে আসা নাবালিকারাও যেভাবে নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছেন, তাতে হাসপাতালের ভেতরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিছু অসৎ মানসিকতা নিয়ে থাকা ব্যক্তি যেভাবে ছলচাতুরি করে অন্য কারও পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নাবালিকার সঙ্গে পর্যন্ত অসভ্যতা করছেন, সেই রেশ টেনে ধরেই এবার রাজ্য প্রশাসনকে রীতিমত ধুয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের সৌভাগ্য যে, এখনও পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি সেজে কেউ হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়েনি। সব জায়গার চিত্র এক। এটা দুষ্কৃতীদের রাজ্য হয়ে গিয়েছে। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সমাজ বিরোধীরা মনে করছে, এটা তাদের সরকার। পুলিশ প্রশাসনের মেরুদন্ড বলতে কিছু নেই। পুলিশের মেরুদন্ড কার্যত তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে ভেঙে দিয়েছে।”

Exit mobile version