Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking “আমাকেও বাংলাদেশী বলে দিত…” SIR এর আতঙ্কে এসব কি বলছেন মমতা?

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসআইআর হওয়ার পর থেকেই যে অত্যন্ত আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছেন এবং যেভাবেই হোক, তিনি যে এসআইআরকে বন্ধ করতে চাইছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার একের পর এক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে। বিজেপি ক্ষমতায় নেই, এমন রাজ্যেও এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার শাসক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তার দলের মত এত বিরোধিতা করছে না এসআইআরের। কিন্তু বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন এত এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে, তা নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে থেকেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। কারণ তিনি জানেন যে, এসআইআর হলে অবৈধ ভোটার এবং অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের নাম বাদ যাবে। আর তারাই এতদিন তাদের ভোটব্যাঙ্ক ছিল জন্যেই তাদের নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর বন্ধ করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর বিরোধীদের সেই সমস্ত বক্তব্যের মাঝেই আজ মতুয়া গড়ের সভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন সব কথা বলে দিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যার ফলে আরও বেশি করে তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে গেল বিরোধীরা।

আজ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। ইতিমধ্যেই বনগায় ত্রিকোণ পার্কের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন তিনি। আর সেখানে তিনি যে সমস্ত কথা বলছেন, তাতেই আরও বেশি করে সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা। কি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রী এদিন এসআইআরের আবারও চরম বিরোধিতা করেছেন। এমনকি তিনি এটাও বলেছেন যে, তিনি বীরভূমে না জন্মালে তাকেও নাকি বাংলাদেশে বলে দেওয়া হতো। এদিন বনগাঁর সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ তোমরা নিজের মত ধর্ম সাজাবে, মানুষকে ভয় দেখাবে। যারা বাংলাদেশী কথা বলে অভ্যস্ত, হঠাৎ করে কি করে বদলাবে? আমি বীরভূমে জন্মেছি। না হলে আমাকেও বাংলাদেশী বলে দিত। আজকে ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা ভয় পাবেন না। ২০২৪ এও যারা ভোট দিয়েছেন, কেউ ভয় পাবেন না। সেই লিস্ট ধরেই তো ভোট হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এতদিন এসআইআর করার সময় পেলে না। ঠিক ভোটের আগে করলে। কথা দিলে শেষ পর্যন্ত আমি কথা রাখি। কথার খেলাপ করি না। ভয় পাবেন না। আমরা থাকতে আপনাদের তাড়াতে দেব না‌।”

আর মুখ্যমন্ত্রী যখন এসআইআরের বিরোধিতা করে এত বড় বড় কথা বলছেন, তখন পাল্টা তাকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের বক্তব্যহষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কি বলছেন, তা কি তিনি নিজে বুঝে বলছেন? তিনি কাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন! যারা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, তাদেরকে তিনি এখনও পর্যন্ত এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে রেখে দিতে চাইছেন? আর কত নির্লজ্জ রাজনীতি করবেন তিনি? আর তিনি বীরভূমে না জন্মালে তাকেও বাংলাদেশি বলে দেওয়া হতো বলে যে মন্তব্য করছেন, তা তিনি ঠিকই বলেছেন। যদি তার কাছে সঠিক প্রমাণ না থাকে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী বলে তার জন্য আইন আলাদা হবে না বলে পাল্টা খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। তাই অনুপ্রবেশ কারীদের পাশে থেকে, অবৈধ বাংলাদেশিদের পাশে থেকে মুখ্যমন্ত্রী যতই এসআইআরের বিরোধিতা করে এত গরমাগরম বক্তব্য সামনে রাখুন না কেন, তার এই ধরনের জঘন্য চক্রান্ত সফল হবে না বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ট মহল।

Exit mobile version