Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“আমি কিছু না করেই জিতি, কাকলিদেবী হারে কেন?” ঘুরিয়ে কি তৃণমূল সাংসদকেই খোঁচা চিরঞ্জিতের?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন বিজয়ের সম্মেলনীর মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে জনসংযোগের একটা অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছে। কিন্তু সেই মঞ্চেই বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা যে সমস্ত বক্তব্য রাখছেন, তা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেউ গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে মন্তব্য করছেন। আবার কেউবা নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে যাতে খারাপ ব্যবহার না হয়, তার জন্য সাবধানবাণী দিচ্ছেন। আর এবার বারাসাতে সেই বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করেও কি তাকে হালকা খোঁচা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী? তিনি নিজে রাজনীতির কিছু জানেন না, কিছু বুঝতে পারেননি, এমনটা বললেও কি কিছু না করেও তিনিই জিতে গেলেও কেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার বারবার বারাসাত থেকে কম ভোট পান, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন এই অভিনেতা বিধায়ক? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশংসা করলেও তিনি ঘুরিয়ে তৃণমূল সাংসদকে কথা শুনিয়ে দিলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

এদিন বারাসাতে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। আর সেখানেই লোকসভা ভোটে কেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার কম ভোট পান, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। চিরঞ্জিতবাবু বলেন, “কাকলি ঘোষ দস্তিদার কেন আমাদের এই ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে থেকে ভালো ভোট পান না! এই প্রশ্নটা আপনাদেরও আছে, আমাদেরও আছে। আমরা সবাই মনে করি, যিনি এত কাজ করেন বারাসাতের জন্য, যিনি এত উপস্থিতি দেন আপনাদের কাছে, যিনি অনেক সময় স্পিকারের চেয়ারে বসেন, তাকে বসতে দেওয়া হয়। এইরকম একজন বিশিষ্ট, বিদগ্ধ একজন নারী, তাকে আমাদের এই বারাসাতে কেন ভোট দেয় না! কেন এখানে ভোটটা কম হয়, আমি বুঝতে পারছি না। আমারও সেই দুঃখ আছে, ক্ষোভ আছে। কিন্তু আমি সেরকম কিছুই করি না। কিন্তু আমি ভোট পাই। এ এক মজার ব্যাপার।”

আর তৃণমূল বিধায়ক যখন এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তখন পাল্টা তাকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ঘুরিয়ে কি কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেই কথা শুনিয়ে দিলেন? তিনি রাজনীতির কিছু বোঝেন না, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কথা চিরঞ্জিতবাবু বললেন। এটাও বললেন যে, কাকলি ঘোষ দস্তিদার অনেক বড় মাপের নেত্রী। কিন্তু তারপরেও তিনি নিজে ভোট পেলেও কাকলি ঘোষ দস্তিদার ভোট পায় না বলে কি ঘুরিয়ে প্রশংসার মধ্যে দিয়ে নিন্দা করলেন এই তৃণমূল বিধায়ক? আসলে গোটা তৃণমূল দলটাই অভ্যন্তরীণ ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। ২০২৬ এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই এর বিস্ফোরণ ঘটছে। তাই আগামী দিনে বিরোধীদের কিছু করতে হবে না। তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াইয়েই এই রাজ্যের শাসক দলের পতন হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।

Exit mobile version