প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
অবশেষে দীর্ঘ জল্পনার পর গতকাল রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। নতুন এই সভাপতির নেতৃত্বেই ২৬ এর নির্বাচনী বৈতরণী পার করবে বিজেপি। আর যেদিন বিজেপির পক্ষ থেকে নতুন এই সভাপতিকে সাদরে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে, জমকালো সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়েছে, ঠিক সেদিনই যে অমিত শাহকে কথায় কথায় আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই অমিত শাহকেই চিঠি লিখলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। আর সেই চিঠির বিষয়বস্তু ঘিরে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধ প্রবণতা কমাতে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন কনটেন্টের ফলে অনেক সময় সাধারণ মানুষকে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই এই ব্যাপারে যাতে কড়া আইন এনে এই সমস্ত চক্রকে আটকানো যায়, তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। অর্থাৎ যেদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন এবং ফল ঘোষণা ঘিরে উচ্ছ্বাস তৈরি হচ্ছে গেরুয়া শিবিরে, ঠিক সেদিনই অন্য একটি বিষয় নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য বলে পরিচিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে এই ব্যাপারে চিঠি লিখলেও, পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এই রাজ্যে সবথেকে বেশি অপরাধ প্রবণতা এবং সেই সমস্ত কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত তো তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। তাদের জন্যই তো পশ্চিমবঙ্গ আজ খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই নিজের দলকে আগে শোধরানোর চেষ্টা করুন তৃণমূল নেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন ভালো দিক আছে, তেমন খারাপ দিকও আছে। নিঃসন্দেহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত দাবি তুলে ধরেছেন, তা গুরুত্ব সহকারে ভাববে কেন্দ্র। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যে বিপদ তৃণমূল নেতাদের জন্য তৈরি হয়েছে, তার থেকে বাংলাকে রক্ষা করা সবার আগে প্রয়োজন। তাই সেই কাজে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেই দাবি বিরোধীদের।