Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

অনুব্রতকে এত ভয়? এবার থানায় ডাক পড়লো চুনোপুটির! তিতিবিরক্ত জনতা!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভাইরাল অডিও ক্লিপ কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে দুবার থানায় আসার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেসবের পরোয়াই করেন না। এখনও পর্যন্ত তিনি থানায় হাজিরা দেননি। তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হলেও, তাকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তিনি বেল পর্যন্ত নেননি। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। আর এই পরিস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে জেলে ঢোকানোর ক্ষমতা না থাকলেও, পুলিশ এবার এক চুনোপুঁটিকে থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যার ফলে পুলিশের ভূমিকায় আরও তিতি বিরক্ত হয়ে উঠছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ।

বলা বাহুল্য, অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল অডিও ক্লিপ নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ ভিডিও করে পুলিশকে আক্রমণ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ। পরবর্তীতে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। আর এবার পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে নোটিশ দিয়ে সিউড়ি থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন, এই সব চুনোপুটিকে ডেকে পুলিশ কি করবে? আসল মাথাকে ধরার জন্য তো পুলিশের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কেন তারা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাকে তুলে আনতে পারছে না? বিক্রমজিৎ সাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে, না ছেড়ে দেবে, তাতে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নয় সাধারণ মানুষ। কে এই বিক্রমজিৎ সাউ? কজন তাকে চেনে? প্রশ্নটা উঠছে বিভিন্ন মহলে।

তবে বিরোধীরা এক্ষেত্রে পুলিশের আসল খেলা ধরে ফেলেছে। তাদের বক্তব্য, এই সমস্ত করে পুলিশ মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে। কারণ তারা নিজেরাও জানে যে, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে না পারার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে কি পরিমান ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। তাই এখন এই সমস্ত চুনোপুঁটিদের ডেকে মূল বিষয়কে এড়িয়ে যেতেই পুলিশের মরিয়া চেষ্টা। আসলে ওপর থেকে নির্দেশ আছে যে, অনুব্রত বাবুর গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। তিনি বেল নেবেন, নিজের সময় মত। তাই তার আগে পুলিশ তাকে যথাসাধ্য সময় দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বেল নেওয়ার পর আর পুলিশ কোনো অ্যাকশন নিতে পারবে না, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। তাই তার আগে যতটা অনুব্রত মণ্ডলের দিক থেকে দৃষ্টি এড়ানো যায়, তার জন্যই এই সমস্ত চুনোপুটিকে ডেকে পুলিশের এই এই সমস্ত নাটক চলছে বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অবিলম্বে এই সমস্ত নাটক পুলিশের বন্ধ করা উচিত। যাদের নিজেদের মা, বউকে আক্রমন করার পরেও বিন্দুমাত্র লজ্জা হয় না, তারা যে আর কতটা নিচে নামতে পারে, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখনও তারা কি করে অনুব্রত মণ্ডলের এই সমস্ত গুন্ডামো সহ্য করছে? তাই এখনও সময় আছে। ফলে হিম্মত থাকলে বিক্রমজিৎ নয়, কেষ্ট মন্ডলকে জেলের ভিতর ঢুকিয়ে দেখাক এই রাজ্যের পুলিশ বলে চ্যালেঞ্জ করছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Exit mobile version