Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“আপনার লাফানি আরও বাড়বে” দক্ষিণ কলকাতা থেকেই মমতার ঘুম কেড়ে নিলেন শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই আরও আক্রমণাত্মক হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গতকালের পর আজকেও প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সংবিধানকে তার এইভাবে চ্যালেঞ্জ জানালোকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা খুব একটা ভালো মত নিতে পারছেন না। অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হলে তার সাধের ভোটব্যাঙ্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এসআইআর যাতে না হয়, তার জন্য এখন প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন তিনি। তবে তার যে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন রাজনীতি করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর আগে এরকম দেখা যায়নি। তাহলে কি সত্যিই তিনি ক্ষমতা দখলে না রাখতে পারার আতঙ্কে ভুগছেন? দক্ষিণ কলকাতার কর্মসূচি থেকে আজ সেই রকমই ইঙ্গিত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম কেড়ে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, গতকাল দলীয় মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশন কে বিজেপির বন্ডেড লেবার বলে আক্রমণ করেছেন। এমনকি আজকেও সরকারি মঞ্চ থেকে তিনি নির্বাচন কমিশনের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে শুরু করে আক্রমণ করার ভাষা দেখে বিরোধীরা স্পষ্ট যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার ক্ষমতা দখলে না রাখতে পারার আতঙ্কে ভুগছেন। তাই যত দিন যাবে, তার এই উগ্র বক্তব্য আরও বৃদ্ধি পাবে। আর আজ দক্ষিণ কলকাতায় কন্যা সুরক্ষা যাত্রা শেষে একটি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কি বললেন তিনি?

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অপেক্ষায় আছে সবাই। ২৬ এর গর্জন, মমতার বিসর্জন। কিচ্ছু করতে পারবেন না আপনি। আপনাকে যাতে হবে। আপনি কেমন লাফাচ্ছেন না এখন! লাফাতে থাকুন, আরও লাফানি বাড়বে। উল্টোপাল্টা কথা আরও বলতে থাকুন আপনি। এখন তো বিজেপিকে ছেড়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ ধরেছে। এরপর সংবিধানকে ধরবে। তারপর বলবে, ভারতমাতাটাই খারাপ।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই কথার মধ্যে দিয়েই একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনফিডেন্স লেভেল ক্রমশ তলানীতে ঠেকেছে। তিনি যে ভাষায় সংবিধানের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন, নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে সংশোধনী করার পরিকল্পনা কমিশন করছে, তাতে ভয়ে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই কারণেই এখন বিজেপির বদলে কমিশনকে আক্রমনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন তিনি। যার ফলে শুভেন্দু অধিকারীও বাড়তি মাইলেজ পেয়ে যাচ্ছেন। আর তাই ওভার কনফিডেন্স হয়ে একেবারে দক্ষিণ কলকাতা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যন্ত্রণা যে আরও বাড়বে এবং শেষ পর্যন্ত যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন, সেই ব্যাপারে নিজের কনফিডেন্ট মনোভাবই প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version