Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“ভোটার তালিকায় সংশোধন হলেই….” আরামবাগে মিঠুনের মন্তব্যে কাঁপুনি শুরু তৃণমূলের?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গতকাল থেকেই ২০২৬ এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে উত্তর কলকাতায় সাংগঠনিক বৈঠকের পর আজ আরামবাগে পৌঁছে গিয়েছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। সম্প্রতি মোদীর সভা থেকেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এবার বাংলার নির্বাচনে বিজেপির জন্য তিনি ময়দানে ঝাপাবেন। আর সেই মতই নিজের সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছেন মহাগুরু। গতকাল উত্তর কলকাতার পর আজ আরামবাগে দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তিনি। আর সেখানেই যে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল এত বেশি করে আপত্তি জানাচ্ছে, সেই বিষয়টি নিয়েই তৃণমূলের কাঁপুনি ধরিয়ে দিলেন মহাগুরু।

বর্তমানে শুধু রাজ্য নয়, জাতীয় রাজনীতি ও সরগরম বিহারের এসআইআর নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আশঙ্কা করছে যে, নির্বাচন কমিশন বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধনের পথে পা বাড়াতে পারে। আর তা যদি হয়, তাহলে অনেক ভুয়ো ভোটার, যা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে, যাদের জন্য আজকে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের নাম বাদ যেতে পারে। আর তাদের নাম যদি বাদ যায়, তাহলে যে তৃণমূলের এই ভুয়ো ভোটারদের কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন, তাতে যে জল পড়ে যাবে, তা বুঝতে পেরেই কি নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ, তার বিরোধিতা করতে শুরু করেছে তৃণমূল? আর এই সমস্ত প্রশ্নের মাঝেই নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূলকে বড়সড় ধাক্কা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

এদিন আরামবাগে পৌঁছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে মন্তব্য করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ভোটার তালিকায় সংশোধন হলেই চুরি বন্ধ হবে, ভুয়ো ভোট বন্ধ হবে। রাজ্যকে মানতেই হবে। এরা কারা, যারা এসেছে! কোথা থেকে এসেছে? বাংলায় কাউকে বাদ দিলে আমরাও প্রতিবাদ করব।” অর্থাৎ এই রাজ্যের শাসক দল যে বলছে যে, প্রকৃত ভোটারদের নির্বাচন কমিশন বাদ দিয়ে বিজেপির পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করছে, তা যে একেবারেই ভিত্তিহীন, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এক্ষেত্রে যদি সেরকম কোনো বিষয় হয়, যদি বাংলার কাউকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে তারাও যে কোনো রকম রাজনীতি না দেখে সেই সমস্ত মানুষদের জন্য প্রতিবাদ করবেন, তাও জানিয়ে দিলেন মহাগুরু। আর এখানেই বিপদ বাড়লো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল যদি এতই নির্বাচনের স্বচ্ছতা আনার পক্ষেই থাকবে, তাহলে নির্বাচন কমিশন তো সেই স্বচ্ছতা আনার জন্যই কাজ করছে। তাতে তাদের এত আপত্তি কোথায়? তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস কি খুব ভালো মতই বুঝতে পারছে যে, নির্বাচনে যদি সঠিকভাবে স্বচ্ছতা হয়, তাহলে তাদের যে ভোটব্যাংক, যে ভুয়ো ভোটার, তাদের নাম বাদ যাবে, আর সেই কারণেই তাদের এত ছটফটানি? তাই তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ পৌঁছে দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীও বুঝিয়ে দিলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তা অত্যন্ত সাধুবাদ যোগ্য। আর মহাগুরুর এই মন্তব্যে ২৬ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাঁপুনি যে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version