প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোথায় কি বলতে হয়, হয়ত তা অনেক সময়ই ভুলে যান। যার জন্য কিছুদিন আগে তিনি মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ সেনাবাহিনী খুলে নেওয়ার কারণে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলে ফেলেছিলেন যে, সেনারা নাকি তাকে দেখে পালিয়ে গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য যে সেনাবাহিনীর কাছে যথেষ্ট অপমান সূচক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আজ আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর অপমানের প্রতিবাদে সেই মেয়ো রোডে ধর্না কর্মসূচি করেছেন। আর সেই কর্মসূচিতেই উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সেনাবাহিনীকে অপমান করেছিলেন, যেভাবে তাকে দেখে সেনাবাহিনী পালিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, তার জবাব কড়া ভাষায় দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বলা বাহুল্য, এদিন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর অপমানের প্রতিবাদে আদালতের অনুমতি নিয়ে মেয়ো রোডে ধর্না করেন। আর সেই কর্মসূচিতেগ উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবু একেবারে মুখের মত জবাব দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কর্মসূচি থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী শুনে রাখুন, আর্মিরা আপনাদের দেখে পালায়নি। আর্মিরা আপনাদের অবৈধ ছামড়া তুলে দিয়েছে বলে, আপনি লেজ গুটিয়ে পালিয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে চলে গিয়েছেন। আমাদের দেশের আর্মিরা আপনাকে দেখে, ছারপোকাদের দেখে পালায় না। আমাদের দেশের আর্মিদের দেখে চিন পালায়। পাকিস্তান পায়ে ধরে বলে, সব বিমানবন্দর তো ভেঙে দিলেন!”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেবারে জুতসই জবাব কি করে দিতে হয়, তা এদিনের মঞ্চ থেকেই দিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবতে শুরু করেছিলেন, যিনি এমন একটা ভাব দেখাতে শুরু করেছিলেন যে, তাকে দেখে সবাই ভয় পায়, এমনকি সেনাবাহিনীরাও নাকি তিনি আসার পর সেখান থেকে চলে গিয়েছে। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে সেই মেয়ো রোড থেকেই পাল্টা জবাব দিয়ে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনিও বুঝিয়ে দিলেন, যে সেনাবাহিনী পাকিস্তান থেকে শুরু করে চিনের মত শক্তিকে টাইট দেয়, সেই সেনাবাহিনী কখনও এই সমস্ত ছোটখাট ব্যক্তিদের নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয়। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যথেষ্ট প্রেস্টিজের, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহল।