Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“আসুন, তুলুন চেয়ার! লজ্জা লাগে না!” দুর্গাপুরে ধর্ণা মঞ্চে বাধা দিতেই পুলিশের চোখে চোখ রেখে শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ কতটা নির্লজ্জ হতে পারে কতটা দলদাসের মত কাজ করতে পারে, তা আজকের ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। যেখানে দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, যেখানে গোটা ঘটনায় লজ্জিত গোটা বাংলা, সেখানে প্রতিবাদ করতে পর্যন্ত দিলো না এই রাজ্যের প্রশাসন। ওড়িশার সেই তরুনীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে আজ দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারে সামনে বিজেপির ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই মঞ্চ তৈরিতে বাধা দেয় পুলিশ। তবে পরবর্তীতে পুলিশের বাধাকে অতিক্রম করে সেখানে নিজেদের কর্মসূচি চালিয়ে যায় বিজেপি। আর সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে যে পুলিশ কর্মীরা বিজেপির এই কর্মসূচিতে বাধাদান করেছিল, তাদের চোখে চোখ রেখে চোখা চোখা প্রশ্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল দুর্গাপুর। যেখানে প্রথমেই সেই দুর্গাপুরে পৌঁছে যে নির্যাতিতা তরুণী, তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই বিজেপির যে ধর্না কর্মসূচি, যেখানে পুলিশ বাধাদান করেছে, সেখানে পৌঁছে যান শুভেন্দুবাবু। বক্তব্য রাখতে গিয়ে যে পুলিশ সামান্য একজন মেয়েকে সুরক্ষা দিতে পারে না, সেই পুলিশের কি করে এই ধর্না কর্মসূচিতে বাধাদান করার মত মানসিকতা দেখতে পাওয়া যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে বোলপুরের এক পুলিশ কর্তাকে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে কদর্য ভাষায় তার মা, বউ তুলে আক্রমণ করেছিলেন, তারপরেও সেই তৃণমূল নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে না, তারা এই দুর্গাপুরে ঘটে যাওয়া এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে, তারপরে কি করে প্রতিবাদে বাধা দিতে আসে, তাতে তাদের লজ্জা বোধ কোথায় গিয়েছে, তা নিয়েও প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে পুলিশকে রীতিমত তুলোধোনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন দুর্গাপুরের বিজেপির কর্মসূচিতে এসে পুলিশের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসবের জন্য অনুমতি লাগে না। আসুন, তুলুন চেয়ার। আসুন। আপনারও স্ত্রী আছে বোন আছে, মা আছে। বোলপুরের আইসির স্ত্রী এবং মাকে যখন ধর্ষণ করবে বলেছিল, কোথায় ছিলেন আপনারা! কোথায় ছিলেন? লজ্জা লাগে না? অতিথি দেব ভব। বাংলার মান, সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়ে গেল। উড়িষ্যার বেটি, উড়িষ্যার কন্যাকে আমরা সুরক্ষা দিতে পারলাম না।”

Exit mobile version