প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে বালি পাচার থেকে শুরু করে কয়লা পাচারের মত বিষয় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে মাঝেমধ্যেই তাদের ঢিলেঢালা গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় বিরোধীদের। অনেকেই আবার সেটিংয়ের তত্ত্ব সামনে আনেন। তবে বিজেপির অনেক নেতাও ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেভাবে তদন্ত করছে এবং যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে, এবার সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে আসল যারা মাথা, তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। ডাকাডাকি বন্ধ করে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার। আর এসবের মধ্যেই গতকাল আবার সেই বালি পাচার নিয়ে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। যেখানে জেলায় জেলায় হানা দিয়েছে তারা। আর সেই বিষয়েই এবার জেলা ধরে ধরে বড় তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগে কয়লা, বালির মত দুর্নীতির ঘটনায় যারা মূল অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কবে পদক্ষেপ হবে, তা দেখতে চাইছে বাংলার মানুষ। অনেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করছে, তাতে তাদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এত ঢিলেঢালা তদন্ত কেন হচ্ছে? যেখানে গোটা রাজ্যবাসী জানে যে, এত দুর্নীতির পেছনে কারা রয়েছে, সেখানে কেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? আর কতদিন অপেক্ষা করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? ফলে তাদের ওপর অনেকেই ভরসা হারিয়ে ফেলছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বালি পাচার নিয়ে ফের সেই কেন্দ্রীয় সংস্থা জেলায় জেলায় হানা দিতেই মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বালি পাচার নিয়ে জেলায় জেলায় যেভাবে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাতে সেই বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “ইডির তল্লাশি তো চলছে। আরও করা দরকার। অন্যান্য জেলাতেও একইভাবে বালি দুর্নীতি হয়। বিশেষ ভাবে পূর্ব বর্ধমান, হুগলিতে ব্যাপকভাবে হয়। হাওড়া জেলাতে হয়। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে হয়। এই তদন্ত এবং তার যে প্রক্রিয়া, এর গতি গোটা রাজ্যেই হওয়া উচিত। ১ টা ঘাট নিয়েছে, ৫০ টা ঘাট চালাচ্ছে। সরকারের ঘরে রাজস্ব যাওয়ার কথা ১ হাজার টাকা, যাচ্ছে ২০০ টাকা। ৮০০ টাকা তৃণমূল নেতা, পুলিশ এবং অবৈধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভাগ হচ্ছে। এই রাজস্ব সরকারের ঘরে যাওয়া উচিত।”
