প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এক সময় গোটা দেশে আওয়াজ উঠতো বাংলা আজ যা ভাবছে, আগামী দিনে গোটা বিশ্ব তা ভাববে। বাংলা থেকেই মহা মনীষীদের অবদান গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। আজ সমাজের যে সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নাম ইতিহাসের পাতায় রয়েছে, তাদের সিংহভাগ মনীষীদের জন্ম হয়েছে এই বাংলায়। যেমন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর রচিত বন্দেমাতরম সংগীতের ১৫০ তম বর্ষপূর্তি চলছে। আর সেই বিষয়েই সংসদে আলোচনায় বাংলার অবদানের কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটিশ শাসনের কথা তুলে ধরে বাংলাকে যদি তারা ভেঙে দেয়, তাহলে দেশ ভেঙে যাবে, সেটা তারা খুব ভালো মতই জানতো বলে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দেমাতরম সংগীতের ১৫০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে। আর যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলার সন্তান, তার এই অবদানকে সাদরে স্বীকৃতি জানাচ্ছে গোটা দেশ। আজ সংসদে সেই বন্দেমাতরম সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দ হয়েছিল। আর সেখানেই ইতিহাসের কথা তুলে ধরে বাংলার অবদান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার দাবি, এই বন্দেমাতরম ধ্বনি রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্রিটিশদের কাছে।
এদিন সংসদে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে তিনি বলেন, “ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিলো, ১৮৫৭ সালের পর ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে কঠিন। তারা জানতো, ভারত ভাগ করে জনগণকে একে অপরের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা কঠিন। তাই তারা দেশ ভাগ করে শাসন করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাকে তাদের পরীক্ষামূলক কেন্দ্র করে তোলে। সেই দিনগুলিতে বাংলার বৌদ্ধিক শক্তি দেশকে পরিচালনা করেছিল। তারা জানতো, যদি তারা বাংলাকে ভেঙে দিতে পারে, তাহলে দেশ ভেঙে যাবে। কিন্তু সেই সময়ে এই রাজ্য থেকে উদ্ভূত বন্দেমাতরম ধ্বনি তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বাংলায় সেই সময় বন্দেমাতরম স্লোগান তুলে প্রভাতফেরি বের হতো।”
