Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক মমতার! হাঁটে হাড়ি ভেঙে দিলেন শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বাংলাদেশে কিভাবে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে, কিভাবে সেখানে হিন্দুদের টুটি চিপে ধরা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে, তাদের বাড়িঘর লুটপাট চালানো হচ্ছে, তা এপারে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে থাকা হিন্দুরা খুব ভালো মতই উপলব্ধি করতে পারছেন। তাই পশ্চিমবঙ্গে যারা হিন্দুরা রয়েছেন, তারা এখন একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য এই রাজ্যের বর্তমান শাসক দল একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার কারণে যদি হিন্দুরা একত্রিত না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় বাংলাদেশ হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বারবার করে তিনি বলেছেন যে, বাংলাদেশে যাহাই ইউনুস, এপারে তাহাই মমতা। আর এবার তার সেই কথাই কি সত্যি হতে চলেছে?

জানা গিয়েছে, এদিন বাংলাদেশের হাইকমিশনার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করতেই তিনি মারাত্মক তথ্য সামনে আনেন। স্পষ্ট ভাষায় তিনি একদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ক্রমাগত ঘটে যাওয়া মালদহ মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে সম্প্রতি মহেশতলায় ঘটনার কথা তুলে ধরে এখানেও যে হিন্দুরা নিরাপদ নন, সেই দাবি করে বসেন। শুভেন্দুবাবুর স্পষ্ট বার্তা, ওপারে যাহা ইউনুস এপারে তাহাই মমতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলায় কিন্তু হিন্দুরা বর্তমানে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে সমস্ত হিন্দুদের এক করতে পশ্চিমবঙ্গ যাতে বাংলাদেশ না হয়, এখান থেকে যাতে হিন্দুদের আর পালিয়ে যেতে না হয়, তার জন্য সনাতনী সংস্কৃতি রক্ষা করার কথা বলছেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কালীগঞ্জের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলেও, সেখানে যে সমস্ত হিন্দু বুথ রয়েছে, তার প্রত্যেকটি বুথেই কিন্তু এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই যে সমস্ত হিন্দুরা নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে চান, যারা নিজেদের পরম্পরা রক্ষা করতে চান, তারা কিন্তু এই বাংলাদেশের হাইকমিশনারের নবান্নে চলে যাওয়া এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতেই বিষয়টি মোটেই ভালোমত নিতে পারবেন না। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে, বাংলাদেশের হাই কমিশনার একদম সঠিক জায়গাতেই গিয়েছেন, সেটা প্রচন্ড খোঁচা লাগার মত বিষয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাছে বলেই মনে করছেন একাংশ। তাই ভোটের সমীকরণ হোক বা হিন্দুদের রক্ষা করার বিষয়, বাংলাদেশে যখন হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে, তখন সেই বাংলাদেশের হাইকমিশনারের নবান্নে যাওয়াকে মোটেই ভালো চোখে নিতে পারছেন না বাংলার হিন্দু সনাতনীরা। এমনিতেই বিরোধীরা দাবি করে যে, বাংলায় তৃণমূল সরকারের আমলে হিন্দুরা নিরাপদ নন। তার মধ্যে এই চিত্র সামনে আসার ফলে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য যে আরও বেশি করে একত্রিত হবেন এবং তৃণমূলকে সরানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version