প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
প্রথমে বিহারে এসআইআর চালু হওয়ার পর বিজেপি বিরোধীরা রাজনৈতিক দলগুলো চিৎকার চেঁচামেচি করলেও, সেখানে ইতিমধ্যেই এসআইআর হওয়ার পর নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দিকে এসআইআরের বিরুদ্ধে অনেক কথা বললেও শেষ পর্যন্ত তাকে আটকাতে পারেনি এই রাজ্যের শাসক দল। তবে বিরোধীদের মধ্যে একটা সংশয় ছিল যে, এখানকার শাসক দল যেভাবে কাজ করে, তাতে তারা বিভিন্ন সরকারি আধিকারিককে কাজে লাগিয়ে এই এসআইআর প্রক্রিয়ায় বাধা দান করতে পারে। ফলে যে লক্ষ্যে এই এসআইআর করা, তা বানচাল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আজ ডবল এন্ট্রি ভোটারদের তালিকা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দপ্তরে জমা দিয়ে যে পদ্ধতিতে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের কাজ চলছে, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিচ্ছেন বিএলওরা। তবে বিভিন্ন জায়গায় সেই বিএলওদের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে বলে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, এসআইআর হলে তো অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে, তাতে কি বিরোধী রাজনৈতিক দল সন্তুষ্ট? কেননা এই রাজ্যের বুকে শাসক দলের বিভিন্ন কৌশল থাকে নির্বাচনে জেতার। সেক্ষেত্রে এসআইআর প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য তারা কোনো গোপন অভিসন্ধি চালাচ্ছে না তো? তবে আজ সিইও দপ্তর থেকে বেরিয়ে সেই এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে আশা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন প্রায় ১৩ লক্ষের বেশি ডবল এন্ট্রি ভোটারদের একটি তথ্য নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তাদের বক্তব্য জানানোর পর বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যে পদ্ধতিতে এসআইআর চলছে, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমরা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের কাজে কিছুটা হলেও খুশি। কারণ এসআইআর যে কারণে ভারতবর্ষের নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তার গতিটা ঠিক রয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই বলছিলাম, এটা বিহার নয়, এখানে নিতীশ কুমারের মত মুখ্যমন্ত্রী নেই, যিনি সংবিধান মানেন। এখানে যে মুখ্যমন্ত্রী আছেন, তিনি সংবিধান মানেন না। তাই আমরা ভেবেছিলাম, ৫০ শতাংশ হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর যে ব্যবস্থাগুলো করেছে, তাতে ৮০ শতাংশ হবে।” অর্থাৎ এই রাজ্যের শাসক দল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করলেও তারা যে সেই সমস্ত কিছুতে পেরে উঠবে না এবং রাজ্যে এসআইআর যে কারণে, সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে যে পদ্ধতিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর কাজ করছে এবং যে গতিতে সেই কাজ এগিয়ে চলছে, তাতে যথেষ্ট খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
