Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বাংলাই পাখির চোখ! দুর্গাপুরের সভার আগেই তৃণমূলকে মাস্টারস্ট্রোক মোদীর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও একটা হতাশা ছিল যে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলাকে নিয়ে ঠিকমত সিরিয়াস নয়। বাংলায় বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছে, অথচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে সরানোর জন্য সেভাবে নজর দিচ্ছে না। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এই রাজ্যে বারবার করে বিজেপির প্রধান মুখ, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বাংলা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কতটা সিরিয়াস। আজ নরেন্দ্র মোদীর দুর্গাপুরে একটি সভা রয়েছে। যে সভায় তিনি কি বার্তা দেন, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে পা রাখার আগেই তৃণমূলকে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন সেই নরেন্দ্র মোদী।

প্রসঙ্গত, কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্গাপুরের সভায় পৌঁছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে বিজেপি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন তিনি। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গেরুয়া শিবিরের কাছে। তবে তৃণমূলকে উৎখাত করে পশ্চিমবঙ্গ দখল করাই যে বিজেপির এখন প্রধান লক্ষ্য, তা দুর্গাপুরের সভায় যোগদান করার আগেই স্পষ্ট করে দিলেন সেই নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যে পোস্ট করলেন, তার পরে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে বাংলায় লড়াই করা বিজেপি নেতাকর্মীরা।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ অনেক আশা নিয়ে বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তারা নিশ্চিত যে, একমাত্র বিজেপিই পারবে উন্নয়ন করতে। ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে একটি জনসভায় ভাষণ দেব। যোগদান করুন।” আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, নরেন্দ্র মোদী বাংলার মাটিতে বিজেপিকে মানুষের পার্টি হিসেবে পরিণত করার চেষ্টা করলেন। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি সরাসরি আহ্বান জানালেন, তার জনসভায় যোগদান করার জন্য। পাশাপাশি তৃণমূলের কারণে এই রাজ্যে যে দুর্নীতি শুরু হয়েছে, যে অভিযোগ এত দিন ধরে বিজেপি নেতারা করছিলেন, এবার সেই কথাই শোনা গেল স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীর গলায়। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বাংলা থেকে এবার তৃণমূলকে সরাতে সব রকম কৌশল কাজে লাগাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুরের সভার আগে প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট অত্যন্ত উজ্জীবিত হওয়ার মত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের কাছে।

Exit mobile version