Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বাংলায় আর মেয়েকে রাখতে চান না দুর্গাপুর কান্ডে নির্যাতিতার বাবা! পাশে দাঁড়িয়ে বড় প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের কাছে, রাজ্যবাসীর কাছে অত্যন্ত লজ্জার কারণ যে, ওড়িশা থেকে পড়তে আসা একটি মেয়ের এত বড় সর্বনাশ এই রাজ্যের বুকে ঘটে গেল। যেখানে দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসকের যে ক্ষতি এই রাজ্যে হয়ে গিয়েছে, তাতে তারপর তার পরিবার আর মেয়েকে এখানে রাখতে চাইছেন না। বর্তমানে সেই নির্যাতিতা চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আজ সেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরেই তার বাবা এবং মা শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়ে দিলেন যে, অনেক টাকা খরচ করে তারা মেয়েকে পড়ানোর জন্য এখানে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে এখানে এসে এই জঙ্গলরাজের মধ্যে যেভাবে ক্ষতি হয়ে গেল, তাতে তারা এবার উড়িষ্যায় মেয়েকে নিয়ে যেতে চান। তবে মাঝপথে যাতে পড়াশোনার কোনো ক্ষতি না হয়, তার জন্য সেই নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশের কাছে বাংলায় দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণীকে যে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ওড়িশার কন্যা হওয়ার কারণে সেখানকার সরকারও রীতিমত তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা যে একেবারে নিন্দনীয়, তা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে বিজেপি। আর তার মাঝেই আজ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই নির্যাতিতার পরিবার এই রাজ্যে এসে যেভাবে তার মেয়ের ক্ষতি হয়ে গেল, তাতে তারা আর আশঙ্কার মধ্যে মেয়েকে এখানে পড়াশোনা করাতে চাইছেন না, এমনটা বিরোধী দলনেতাকে জানিয়ে দেন। আর তা শুনেই শুভেন্দু অধিকারী নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি ওড়িশায় গেলে যাতে তার পড়াশুনোর কোনো ক্ষতি না হয়, তার জন্য আশ্বাস দেন নির্যাতিতার বাবা-মাকে।

এদিন নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে দেখা করার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “এখানে মেয়েটির মা এবং বাবা আমাকে বলেছেন যে, আমরা আমাদের মেয়েকে আর এখানে রাখবো না। আমরা ৮০ লক্ষ টাকা ক্যাপিটেশন ফি দিয়ে মেয়েকে ভর্তি করিয়েছি। আমরা আর এখানে আমাদের মেয়েকে রাখবো না. কিন্তু আমার মেয়ে সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। মেয়ের ভবিষ্যৎ কি হবে? আমি ওনাদের আশ্বস্ত করেছি যে, মোহন মাঝিজী যখন আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন, আমিও আপনাদের কথা দিচ্ছি, মোহন মাঝি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে আমিও যোগাযোগ রাখব। আপনারা ওখানে চলে যাওয়ার পরে জলেশ্বরে আমিও আপনাদের বাড়িতে যাব। পাশাপাশি আপনার মেয়ের ভবিষ্যৎ যাতে সুরক্ষিত হয়, মাঝপথে তার ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য আমরাও যোগাযোগ রাখব এবং আপনাদের সহযোগিতা করব।”

Exit mobile version