Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বাংলায় SIR করাতে এবার নামতে চলেছে আর্মি? মমতাকে “মূর্খ” বলে ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত শুভেন্দুর!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হওয়ার আগে থেকেই তার বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা নেত্রীরা। এসআইআর তিনি কোনোমতেই হতে দেবেন না বলে অনেক চেঁচামেচি করলেও, শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এসআইআরের আতঙ্কে এখন তৃণমূলের ছটফটানি এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তারা রাস্তায় নেমে এর বিরোধিতা করছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআরের বিরুদ্ধে যা খুশি তাই বলে চলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে সংবিধানের অনুচ্ছেদ স্মরণ করিয়ে দিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন যে, নির্বাচন কমিশন যদি চায়, তাহলে এসআইআর করানোর ক্ষেত্রে তারা আর্মি পর্যন্ত নামাতে পারে।

বর্তমানে এই রাজ্যের বুকে একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা দাবি করছে যে, এসআইআর তৃণমূলের কাছে প্রবল আতঙ্কের কারণ। আর সেই কারণেই তারা অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাওয়ার ভয়ে এবং নিজেরা ক্ষমতায় টিকে থাকবে না জন্যই নির্বাচন কমিশনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী এসআইআরের এত বিরোধিতা করছে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্যান্য রাজ্যেও এসআইআর হচ্ছে। সেখানেও বিজেপি বিরোধী দলগুলো রয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে তার বিরোধিতা করছে, তা আর অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার সেই বক্তব্য বিরোধী নেতাদের মুখ থেকে শোনা গিয়েছে। তবে এবার এসআইআর নিয়ে আবার এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সোচ্চার হতে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এসআইআরের বিরোধিতা নিয়ে সাংবাদিকরা শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে সংবিধানের অনুচ্ছেদ স্মরণ করিয়ে দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “মামাবাড়ির আবদার না! ভারতের সংবিধান শেষ কথা বলবে। কোনো নেতা-নেত্রী শেষ কথা বলবে না। সংবিধান পড়বেন। ৩২৪ থেকে ৩২৯, পুরো ক্ষমতা দেওয়া আছে নির্বাচন কমিশনকে। প্রয়োজন হলে তারা আর্মি নামিয়েও করতে পারে। বাবাসাহেব আম্বেদকর সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে এই ক্ষমতা দিয়ে গিয়েছেন। মমতা ব্যানার্জি একটা মূর্খ। সংবিধান পড়লে এই ধরনের কথা তিনি বলতেন না।” অর্থাৎ শুভেন্দুবাবু একটা ভয়ংকর ইঙ্গিত কিন্তু এদিনের বক্তব্যের মধ্যে থেকে দিয়ে দিলেন। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা তৃণমূল যেভাবে শুরু করেছে, তাতে এই এসআইআর প্রক্রিয়ায় যদি বাধা আসে এবং নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে, তাহলে তারা নিজেদের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য আর্মি নামিয়েও সেই কাজ সম্পন্ন করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটি গুঞ্জন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন করে শুরু হয়েছে যে, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে এবার আর্মি নামানোর চিন্তাভাবনা করবে নির্বাচন কমিশন? জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।

Exit mobile version