Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বাংলার মন জয়ে বিজেপির পদক্ষেপ! পাল্টা ক্ষমতা দখলে রাখতে আজই বড় ঘোষণা মমতার?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এ বিজেপি যে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলে অনেকটাই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে এবং তারা যে বাংলার মানুষের মন জয় করে নিয়েছে, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আর এই জায়গাতেই কি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? যতই তিনি বাঙালি অস্মিতা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে তার দল সবথেকে বড় বাংলাপ্রেমী, এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করুন না কেন, বাংলার মানুষ কিন্তু তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে ভেবে নিয়েছে বিজেপি। অন্তত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই বলছেন। তবে বিজেপির এই বাংলা দখলে একের পর এক পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার ২০২৬ এও বাংলার ক্ষমতা দখলে রাখতে কি আজই বড় ঘোষণা করতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

বস্তুত, সামনেই বাংলা ও বাঙালির প্রিয় দুর্গাপুজো। আর সেই দুর্গাপুজো নিয়েই আজ পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠকেই তিনি ক্লাবগুলিকে এবার দুর্গাপুজোর জন্য যে আর্থিক অনুদান, সেই আর্থিক অনুদান বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা করতে পারেন। গত বছর ৮৫ হাজার টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই অনুদান বাড়িয়ে তিনি গতবারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতই এবার সেই অর্থের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা করে দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী গত বছরই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাই এবার বিজেপি যখন বাংলার মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে, তখন তাদেরকে আটকাতেই এই দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা চাল দিতে পারেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

যদিও বা গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, শুধুমাত্র ভাতা, ভর্তুকি এবং আর্থিক অনুদান দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মানুষকে আটকে রাখতে চাইছেন। বাংলায় বিজেপিকে আটকানোর জন্য তিনি ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করতেই পারেন। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। বাংলায় একের পর এক জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পুলিশ নীরব ভূমিকায় থাকছে। তাই শুধুমাত্র ভোটের গিমিক তোলার জন্য এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্লাবগুলিকে বাড়তি অনুদান দেওয়ায় সাধারণ মানুষ তাতে ভুলবেন না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

Exit mobile version