Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking বাংলার সনাতনীদের জন্য বড় সুখবর, এবার মুর্শিদাবাদে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির! ডিসেম্বরেই শিলান্যাসের ঘোষণা!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
প্রায় বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ গোটা ভারতবর্ষের সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষরা প্রতীক্ষা করেছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরের দরজা কবে খোলা হবে। গত বছরের ২২ জানুয়ারি সেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের দারোদঘাটন হয়। যেখানে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী কাল সেই অযোধ্যার মন্দিরে চূড়ায় ধ্বজ ওড়াবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই পবিত্র কর্মসূচি ঘিরে যখন অযোধ্যায় সাজো সাজো রব, ঠিক তখনই বাংলার হিন্দু সনাতনীদের জন্য বিরাট সুখবর সামনে এলো।

এই রাজ্যের মাটিতে তৃণমূল সরকারের আমলে হিন্দুরা সুরক্ষিত নয়। এই অভিযোগ বারবার করে এসেছে বিরোধীরা। এমনকি মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে যখন তৃণমূলের কোনো নেতা হিন্দুদের কেটে ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন, স্বাভাবিকভাবেই সেটা সনাতনীদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি এই রাজ্যের বুকে মহেশতলায় তুলসী মঞ্চ উপড়ে ফেলা থেকে শুরু করে মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তোলার মতো চিত্র সামনে এসেছে। যাকে হাতিয়ার করে হিন্দুদের করুণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বারবার সোচ্চার হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এসবের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি থাকলেও, এবার সেখানেই হতে চলেছে রাম মন্দির। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তেমনটাই জানালেন বিজেপি নেতার শাখারভ সরকার।

বলা বাহুল্য, এর আগেই শোনা গিয়েছিল যে, মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের শিলান্যাস করা হতে পারে। আর এদিন বিজেপি নেতার সাংবাদিক বৈঠকের পর আরও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পৌরসভার কাছেই হতে চলেছে রাম মন্দির। যেখানে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার জানিয়ে দিলেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের সেই রাম মন্দির হবে। তবে কোনো সরকারি অর্থে নয়। একটি ট্রাস্টের মাধ্যমেই এর সমস্ত খরচ বহন করা হবে এবং এই রাম মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সেই বিজেপি নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই যখন বাংলায় হিন্দুরা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কারণে কিছুটা ভীত, সন্ত্রস্ত, তখন মুর্শিদাবাদের মতো জায়গায় সেই রাম মন্দিরের শিলান্যাসের ঘোষণা করে বিজেপি নেতা হিন্দু সনাতনীদের যেমন আশ্বস্ত করলেন, ঠিক তেমনই এর ফলে সনাতনীরাও যথেষ্ট উজ্জীবিত হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version