Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“বেশি পাকা” বিধানসভায় প্রকাশ্যেই দলীয় বিধায়ককে ধমক মমতার! কে পড়লেন রোষের মুখে?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল রাজ্য বিধানসভায় যে হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা সকলেই প্রত্যক্ষ করেছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে শুধুমাত্র বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করেন, তা নয়। তিনি নিজের দলেরও কেউ যদি বেশি খবরের শিরোনামে চলে আসেন, তাহলে তার ডানা ছাটতেও দুবার ভাবেন না। এবার রাজ্য বিধানসভায় যে চিত্র দেখা গেল, তারপর প্রশ্ন উঠছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কোনো জনপ্রতিনিধিকে তার বিন্দুমাত্র সম্মানটুকু দেবেন না? বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এই বিষয় তুলে ধরে তৃণমূলকেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। কিন্তু কেন এমন কথা বিরোধীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে!

প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্য বিধানসভায় চরম হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেখানে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার পাশাপাশি বিজেপির বেশ কিছু বিধায়ককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। সরকারি বেঞ্চ থেকে তৃণমূলের বিধায়করাও বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে। আর তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যখন বারবার করে নিজের বেঞ্চ থেকে সরে আসছিলেন, তখন প্রকাশ্যেই তাকে এমন কিছু কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা শুনে অনেকেই বলছেন যে, তৃণমূলের বিধায়কদেরও দলের মধ্যে কোনো সম্মান নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে বিরোধীদের সামনেই যে ভাষায় কালকে হুমায়ুন কবীরকে আক্রমণ করলেন, তাতে যদি তার বিন্দুমাত্র মেরুদন্ড থাকে, তাহলে তিনি আর এই দল করতে পারেন না বলেই দাবি করছেন একাংশ। কিন্তু ঠিক কি বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

গতকাল বিধানসভায় যখন বিরোধীরা হট্টগোল করছিল, তখন শাসক দলের পক্ষ থেকেও তার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। তৃণমূলের একের পর এক বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে। আর সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সামাল দেন। তবুও তৃণমূলের এক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তিনি বারবার করে নিজের আসন ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন। আর তাতেই চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যেই তিনি এই তৃণমূল বিধায়কের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই হুমায়ুন, তুমি বসবে! বেশি পাকা যেখানে আমি বলছি বলতে, সেখানে বোসো। আমি একাই একশো। আমার কারও সাপোর্ট চাই না। এটা মানুষের ভয়েস।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিধায়ককে এইভাবে বলছেন, তাতে তিনি বলতেই পারেন। তাতে কারও কিছু যায় আসে না। কিন্তু প্রকাশ্যে একেবারে বিরোধীদের সামনেই তৃণমূলের এই বিধায়ককে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধমক দিলেন, যেভাবে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি একাই একশো, তিনিই সব করতে পারবেন, আর কারও কিছু দরকার নেই। তাতে তো সেই বিধায়কের বিন্দুমাত্র বিবেক থাকলে তিনি যথেষ্ট অপমানিত বোধ করবেন! কিন্তু সেই বিবেক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইভাবে প্রকাশ্য অপমানের জন্য মেরুদন্ড সোজা রেখে কি বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন হুমায়ুন কবীর? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

Exit mobile version