Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ভবানীপুর নয়, ২৬ এ মেটিয়াবুরুজে প্রার্থী হবেন মমতা? “ব্যাড M” কটাক্ষ শুভেন্দুর!  

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রতিনিয়ত দাবী করছেন যে, নন্দীগ্রামে যেমন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন, ঠিক একইভাবে ভবানীপুরেও হারিয়ে দেখাবেন। এমনকি তিনি এটাও দাবি করছেন যে, এবার তৃণমূল অনেক আসনে পরাজিত হবে। কারণ এসআইআর হওয়ার পর তৃণমূলের অবৈধ ভোটার এবং বাংলাদেশী মুসলিমরা ভোটার লিস্ট থেকে বাদ যাবে। আর তার আতঙ্কেই তৃণমূল এখন বিভিন্ন আসনে নিজেদের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে বিভিন্ন কৌশল কাজে লাগাচ্ছে। আর এসবের মাঝেই গতকাল ভবানীপুরে একটি কর্মসূচি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করার চ্যালেঞ্জ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, এরপর তিনি যে কথা বললেন, সেটা যদি বাস্তব হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, সত্যিই হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর হওয়ার পরে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। কিন্তু কি এমন বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

ইতিমধ্যেই এসআইআরের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা, নেত্রীরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তবে যে ভবানীপুর বিজেপির অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটি বলে বিজেপি নেতারা দাবি করেন, সেটা আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক। ফলে সেখানে বিজেপি এবার পদ্মফুল ফোটানোর ব্যাপারে রীতিমত সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রতিদিন দাবি করছেন, তিনি ভবানীপুরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেখাবেন। তবে গতকাল সেই শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে “ব্যাড এম” বলে সম্বোধন করেন। আর তার পরেই তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “এসআইআর হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেটিয়াবুরুজে পালিয়ে যেতে পারেন। সেখানে তিনি দাঁড়াতে পারেন। তাই তিনি ভবানীপুরে দাঁড়ান। আমরা তাকে হারিয়ে দেখিয়ে দেব।”

আর শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করবেন, সেটা তো পরের ব্যাপার। এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে যে, তিনি ভবানীপুরেই এবার ভোটে লড়বেন। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী বা তার দল বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কতটা কাবু করতে পারেন, সেটা নির্বাচনের ফলাফলের পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে এসআইআর হওয়ার পর যদি সত্যিই বড় কোনো পরিবর্তন আসে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্রে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য সত্যি হয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, তৃণমূলের আসল ভোটব্যাংক কারা। আর সেই ভোটব্যাংক এসআইআরের ফলে বাদ যাওয়ার কারণে কি রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়বে ঘাসফুল শিবির? শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Exit mobile version