Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ভাই থেকে ভাগ্না, কেউ নয় আপনা! নিজের ভাইকেই খুন করলেন তৃণমূল নেত্রী? অভিযোগে শিউড়ে উঠছে রাজ্য!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এমন সমস্ত কাণ্ডকলাপ করছে, যা দেখে মনে হচ্ছে যে, তাদের কাছে নিজের রক্তের সম্পর্কও আপন নয়। শুধুমাত্র দুর্নীতি করতে হবে, চুরি করতে হবে, আর চুরি করে টিকে থাকতে হবে। এই করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা এখন হয়ত ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছেন। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার তৃণমূলের এক নেত্রী যে কাণ্ড করে বসলেন, যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠছে, তাতে তো স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তৃণমূলের কাছে, তৃণমূলের যে সমস্ত নেতারা দুর্নীতি করবে, তাদের কাছে আপন বলতে কেউ নেই। কিন্তু কেন এমন কথা বলা হচ্ছে? যে ঘটনা রাজ্যে ঘটেছে, তাতে সেটা শুনলে অনেকেই শিউড়ে উঠবেন।

 

জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রীনা দাসের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। তার ভাই রামপদ দাস তার বেশ কিছু অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন বলে খবর আসছিল। আর সেই ঘটনার ফলেই দিদি এবং ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। পরবর্তীতে এতটাই ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে যে, নিজের ভাইকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করিয়েছেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। পরবর্তীতে সেই রামপদ দাসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চার দিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিল। আর অবশেষে গত সোমবার রাতে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আর এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের এই কাউন্সিলর এবং সবথেকে বড় কথা, তিনি তো এক ভাইয়ের দিদি, মানে তো মায়ের সমান! তাহলে তিনি কি করে তার ভাইকে এইভাবে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করালেন? যে মারাত্মক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠছে, তাতে তিনি কি বলবেন? যদি এই ঘটনার বিন্দুমাত্র সত্যতা থাকে, তাহলে কি এই তৃণমূল নেত্রী সমাজে আর মুখ দেখাতে পারবেন?

 

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল মানেই চুরি, দুর্নীতি, এটা আজ রাজ্যের মানুষ জেনে গিয়েছে। কিন্তু নিজের পরিবারের লোকজনকেও যে এরা মেরে ফেলতে দু’বার ভাবে না, এরা যে কত বড় চোর এবং কত বড় নির্লজ্জ এবং কত বড় খুনি, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাই অন্যায় কাজে প্রতিবাদ করার কারণে দিদি তাকে শুধুমাত্র দুর্নীতি কেন আটকানো হচ্ছে, তার জন্য আজকে সুপারি কিলার দিয়ে মেরে দিচ্ছেন! রাজ্যের পরিস্থিতি কোন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে গিয়েছেন, তা তো এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। অবিলম্বে তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আগামী দিনে এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হবে বলেই দাবি করছেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ এখন কি পদক্ষেপ নেয়, অনুব্রত মণ্ডলের মত এক্ষেত্রেও কি তৃণমূল নেত্রীকে ছাড় দেওয়া হয়, নাকি তাকে গ্রেপ্তার করার মত সাহস দেখাতে পারে প্রশাসন, সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর।

Exit mobile version