প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। গতকাল এসআইআর প্রক্রিয়ার পর যে খসড়া তালিকা, তা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে বুথে ভোট দেন, সেখান থেকে প্রায় ১২৭ জন মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি করছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারা এতদিন ভুয়ো ভোটারদের ভোটার তালিকায় রেখে তাদের ভোট দিয়েই জিতে এসেছেন। আর গতকালের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে শুরু করে তিনি যে বুথে ভোট দেন, সেখানেও যে সংখ্যার ভোটারদের নাম বাদ গিয়েছে, তাকে সামনে এনে এই ভুয়ো ভোটকে হাতিয়ার করেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকবার জেতেন, সেই ব্যাপারে বড় দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন যে, এবার ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি পরাজিত করবেন। বিজেপির পক্ষ থেকে যিনিই প্রার্থী হোন, তাকে দিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেখাবেন। আর গতকাল এসআইআরের পর খসড়া তালিকা প্রকাশ করার পর যে তথ্য সামনে এলো, তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বুথে ভোট দেন, সেখান থেকেই প্রায় ১২৭ জন মানুষের নাম বাদ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই নথিকে সামনে এনেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পাল্টা দাবি করলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও যে ভুয়ো ভোটারদের হাতিয়ার করেই এতদিন জিতে এসেছেন, এর মধ্যে দিয়েই তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী দলনেতার এই দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
গতকাল আসানসোলে বিজেপির দলীয় কার্যালয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হোন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই এসআইআরের পর যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে এবং সেখানে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের বুথে ১২৭ জন মানুষের নাম বাদ গিয়েছে, তা নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যে বুথে উনি ভোট দেন, সেখানে ১২৭ জনের নাম বাদ গেছে। এটা খুব বড় সংখ্যা। একটা বুথে ৮০০ থেকে ১২০০ ভোটার থাকে। উনি যে ভুয়ো ভোট নিয়েই ওখানে জেতেন, এ তো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ওই বিধানসভায় ৪৬ হাজার নাম বাদ গিয়েছে। আর এর মধ্যে দিয়েই প্রমাণ হচ্ছে যে, কলকাতায় যে তৃণমূলের সাফল্য, এর মধ্যে ভুয়ো ভোটারদের একটা বড় অবদান রয়েছে।”
