Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে শহর কলকাতায় একের পর এক মৃত্যু, রাজ্যের চাপ বাড়িয়ে হাইকোর্টে নওশাদ!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই প্রথম নয়, এর আগেও শহর কলকাতায় যখন জল জমেছিল বা বৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। আর এবার অতিবৃষ্টি হওয়ার কারণে এমনিতেই জলমগ্ন হয়েছিল এলাকা। তবে দুর্যোগ হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে অন্যান্য শহরে দুর্যোগ হলে এইভাবে মানুষের মৃত্যু হয় না। কেন বেছে বেছে কলকাতা শহরে এইভাবে মৃত্যু হয়? কেন খোলা তার এইভাবে রাস্তায় পড়ে থাকে! এই প্রশ্ন বিরোধীদের মধ্যে রয়েছে। তবে রাজ্য সরকার বা কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, সমস্ত দায় বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার। তবে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এর পেছনে রাজ্য সরকারের যথেষ্ট দায় রয়েছে এবং যত মানুষ মারা যাচ্ছে, তার জন্য দায়ী একমাত্র রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভা। আর এবার সেই ব্যাপারে রাজ্যের চাপ পালিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

ইতিমধ্যেই জলমগ্ন শহর কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরনের ঘোষণা করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বারবার করে মানুষ এভাবে কেন মারা যাবে? কেন দুর্যোগ হলেই কলকাতা শহরে মানুষের প্রাণ বলে দিতে হবে? কেন এর পেছনে রাজ্য সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই রাজ্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে যে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারবে না, শেষ পর্যন্ত যে এই ব্যাপারে রাজ্যকেই জবাবদিহি করতে হবে, তা নিয়ে পাল্টা চেপে ধরেছে বিরোধীরা।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। মূলত, কেন বারবার করে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে আদালতের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বিচারপতি সুজয় পাল তার মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই শুধুমাত্র দায় ঠেলাঠেলি করে যে রাজ্য সরকার এবারের বিদ্যুৎপৃষ্টে মৃত্যুর ঘটনাকে এড়িয়ে যেতে পারবে না, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেভাবে নওশাদ সিদ্দিকী গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছেন, তাতে ভবিষ্যতে আরও চাপে পড়ে যেতে পারে রাজ্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version