প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ রাজ্য বিধানসভায় রীতিমত হুলুস্থল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলতে ওঠার সময় প্রতিবাদ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। যদিও বা এদিনের অধিবেশনে সাসপেন্ড থাকার কারণে উপস্থিত হননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিজেপি বিধায়করা যেভাবে সমবেত প্রতিবাদ করেছেন, তাতে রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসকদলের বিধায়করা বলেই দাবি বিজেপির। আর ভরা অধিবেশনে বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পালের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সবাইকে হারিয়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেন। আর তারপরেই বাইরে থেকে এর জবাব দিয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের গড় ভবানীপুরেই হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় তুলকালাম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যেখানে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়। এমনকি তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করা হয়। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তারপরেই সেই শঙ্কর ঘোষকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের উদ্দেশ্যে যে মন্তব্য করেছেন, তার পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবু বলেন, “ওকে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, এবার ভবানীপুরে হারাব। ও অগ্নিমিত্রা পালকে বলেছে, এবার তোদের সবাইকে হারাব। আমি বলছি, নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, এবার ওকে ভবানীপুরে হারাব।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২০২৬ এর লড়াইটা একেবারে অগ্নি পরীক্ষার মত। তিনি যে কথা দিলে কথা রাখেন এবং তা করে দেখান, তা ২০২১ সালেই প্রমাণ করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে পরাজিত করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নন। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর কাছে চ্যালেঞ্জ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের শক্ত ঘাঁটি ভবানীপুরেই তাকে হারিয়ে দেখানোর। তাই আজ বিধানসভায় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে হারানোর চ্যালেঞ্জ দিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই একেবারে ভবানীপুরে হারিয়ে দেওয়ার পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসর জমিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।