Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বিধানসভায় ধুন্ধুমার, টেনে হিঁচড়ে বের করতেই অসুস্থ শঙ্কর ঘোষ! উত্তাল পরিস্থিতি!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিধানসভায় কি করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়, তা নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যাখ্যা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি তাকেও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি মানুষের কথা বিধানসভায় তুলতে ধরতে না পারেন। আর আজ সেই রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার আগে বিরোধীদের তরফে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। আর সেই প্রতিবাদ সহ্য করতে না পেরেই শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। আর তারপরেই রীতিমতো প্রতিবাদ শুরু করেন বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা। আর এই ঘটনার পরেই ক্রমাগত আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্য বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি বক্তব্য রাখার আগেই বিরোধীদের তরফে প্রতিবাদ শুরু হয়। বিরোধীরা বলতে শুরু করেন যে, বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করে দিয়ে বিধানসভা চালানোর কোনো অর্থ হয় না। আর এরপরেই বিরোধীদের প্রতিবাদ সহ্য করতে না পেরে বিজেপির দাপুটে বিধায়ক শংকর ঘোষকে অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। আর সেই ঘটনার পরেই আরও প্রতিবাদ শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। পরবর্তীতে মার্শাল দিয়ে সেই শঙ্কর ঘোষকে বাইরে বের করার প্রস্তুতি শুরু হয়। তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়করা। আর এর পরেই রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্কর ঘোষ।

বিজেপির দাবি, গণতন্ত্রের পক্ষে এ এক কালো দিন। এই রাজ্যের বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। শুভেন্দু অধিকারীর পর আজ শঙ্কর ঘোষকেও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র শাসকের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কথা বলার জন্য এমনকি তাকে বিধানসভায় অধিবেশন কক্ষে হেনস্থা পর্যন্ত করা হয়েছে। টেনে হিঁচড়ে তাকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তাই এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শঙ্কর ঘোষ। গণতন্ত্রের পীঠস্থানে শাসকের এই ধরনের গা জোয়ারি আচরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

Exit mobile version