Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking ছিঃ, ছিঃ! বিধানসভায় এমন দৃশ্য? শুভেন্দুর কাঁধে ভর দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে শঙ্কর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে বিরোধীদের সামান্য কথাটুকু বলতে দেওয়া হয় না। যে বিরোধীরা বাইরে রাজনীতি করতে পারে না, সেখানে পুলিশ দিয়ে তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়, তারা বিধানসভার ভেতরেও কথা বলবে না, এটা কি করে সম্ভব? আজ রাজ্য বিধানসভায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। আর সেই ঝড় সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। পরবর্তীতে মার্শাল দিয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা হয়। আর সেই সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই বিজেপি বিধায়ক। এদিকে প্রতিবাদ সহ্য করতে না পারার জন্য আগেভাগেই কিছুদিন আগেই চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি সাসপেন্ড হলেও বিধানসভার ভেতরে বিজেপির সমস্ত বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা পালন করবেন। আর সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিকেই সহ্য করতে না পেরে আজ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে যেভাবে হেনস্থা করা হলো, তা বিধানসভার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকবে বলেই দাবি করছে বিজেপি।

কি ঘটনা ঘটেছে? আজ বিধানসভায় সাসপেন্ড করা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। বিজেপির দাবি, প্রতিনিয়ত যারাই প্রতিবাদ করবে, তারাই যাতে বিধানসভায় থাকতে না পারে, তার চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। তিনি তৃণমূলের কথামত বিজেপির সমস্ত প্রতিবাদী বিধায়ককে একের পর এক সাসপেন্ড করে চলেছেন। আর তার প্রতিবাদ বিজেপির পক্ষ থেকে হতেই আরও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেখানে শঙ্কর ঘোষকে রীতিমত টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করা হয়। আর তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আর বর্তমানে সেই শঙ্কর ঘোষের অসুস্থতার কারণে তাকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স করে পাঠানো হলো হাসপাতালে।

বলা বাহুল্য, কিছুক্ষণ আগেই বিধানসভা থেকে বের করে আনা হয় শঙ্কর ঘোষকে। যেখানে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধে ভর দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় বাইরে আসেন। আর সেখানেই শঙ্করবাবুকে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধে ভর দিয়ে যন্ত্রণা নিয়ে সেই অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আর সেই সময়ই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর যাতে অবিলম্বে বিজেপি বিধায়কের স্ক্যান করানো হয়, সেই পরামর্শ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিধানসভায় শুধুমাত্র শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য যেভাবে আজকে হেনস্থা হতে হলো একজন বিজেপি বিধায়ককে, তা এককথায় বেনজির এবং দুর্ভাগ্যজনক দৃশ্য বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version