Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বিধানসভায় আর বিজেপি বিধায়কদের বলতে দেবে না তৃণমূল? আজব ফতোয়া মমতার!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন বিরোধীরা অভিযোগ করতেন যে, রাজ্য বিধানসভায় তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। আর আজ বিধানসভার অধিবেশনের ভিডিও প্রকাশ হওয়ার কারণে খুব ভালোভাবেই বোঝা গেল যে, এই রাজ্যের শাসক দল সমালোচনা শুনতে একেবারেই অভ্যস্ত নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি বিধায়করা যখন প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় তাতে অধৈর্য হয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলের বিধায়কদের যে নিদান দিলেন, তাতেই প্রশ্ন উঠছে যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? বিধানসভা গণতন্ত্রের পীঠস্থান সেখানে বিরোধীদের যদি কথা বলতে না দেওয়া হয়, তাহলে তারা কথা বলবেন কোথায়?

প্রসঙ্গত, আজ রাজ্য বিধানসভায় তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে উঠে ক্রমাগত স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। আর তাতেই রীতিমত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তৃণমূল বিধায়কদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এরপর থেকে বিজেপি বিধায়করা যখন বলবে, তখন কাউকে বলতে দেবে না। বিজেপি বাংলা বিরোধী। বাঙ্গালিদের অত্যাচার মানব না। অগণতান্ত্রিক ভাবে আমাকে বলতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি। ভয় পেয়ে বাংলার মানুষকে হেনস্থা করছে। বাংলার মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবে।”

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? অবশ্য এতদিন এমনটাই হয়ে এসেছে রাজ্য বিধানসভায়। এভাবেই গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করা হয়েছে। আর এবার একেবারে প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলের বিধায়কদের এরপর থেকে আর বিরোধীরা বলার সময় তাদের বলতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে, মুখ্যমন্ত্রী কত বড় গণতন্ত্র বিরোধী! এভাবে চলতে থাকলে পশ্চিমবঙ্গে ঘোর অন্ধকার নেমে আসবে। তাই ২০২৬ এ এই সরকারের বিসর্জন না হলে বাংলায় গণতন্ত্রের সমাধি হয়ে যাবে বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।

Exit mobile version