প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও ১২ টি রাজ্য এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু কোথাও এসআইআরের আতঙ্কে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তবে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই আসছে এই রকম খবর। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা প্রতিনিয়ত দাবি করছেন যে, এসআইআরের আতঙ্কে একের পর এক সাধারন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল রাজ্য বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসআইআর নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো এবং তার ফলে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক প্রবেশের কারণেই এই মৃত্যু হচ্ছে এবং তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের ভুল বোঝানোর রাজনীতি দায়ী বলেই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেই কথা বলতে গিয়েই তৃণমূল এই এসআইআর নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝালেও, তাদের সঙ্গে নীতিগত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে সমর্থন করলেন সুকান্ত মজুমদার।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথমে এসআইআর হতে দেবেন না বলে অনেক দাবি করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা-নেত্রীদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসআইআর হওয়ার পর থেকে তাদের আতঙ্ক আরও বেড়ে গিয়েছে। এখন তারা দাবি করছে যে, এসআইআরের আতঙ্কে রাজ্যে একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলগুলো এসআইআর নিয়ে এত চেঁচামেচি না করলেও তৃণমূল কেন করছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর তার মধ্যেই এসআইআর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর যে মন্তব্য, তাকে সমর্থন করে তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তারপরেই বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি যেখানে এসআইআর নিয়ে রাজ্যে একের পর এক মৃত্যু পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের যে অভিযোগ তা নিয়ে সুকান্ত বাবু কে প্রশ্ন করা হয় আর তার উত্তরে ভুল বোঝানোর রাজনীতি এবং সেই আতঙ্কেই মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে দায়ী করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তখনই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বক্তব্য উত্থাপন করে সুকান্তবাবু বলেন, “অনেক বিরোধী দল আছে, আমাদের বিরোধী। আদর্শের দিক থেকে আমাদের একেবারেই বিরোধী। আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ। নওশাদ তো পরিষ্কার বলছে, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনার বাপ, ঠাকুরদা এই মাটিতে ছিল। আমরাও তাই বলছি। হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, যাদের বাপ ঠাকুরদা এই মাটিতে ছিল, যারা এখানে থেকেছেন, তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।” অর্থাৎ তৃণমূল যখন এসআইআর নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক ঢোকানোর চেষ্টা করছে, তখন আইএসএফ বিধায়কের মন্তব্যের প্রশংসা করে ২৬ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।