Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking অভয়া কান্ডে বিনীত গোয়েলকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা? অভয়ার মাকে দেখেই মনোজ বর্মাকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!

Big breaking অভয়া কান্ডে বিনীত গোয়েলকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা? অভয়ার মাকে দেখেই মনোজ বর্মাকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গত বছর আরজিকর কান্ডের পর থেকেই বিতর্কের শিরোনামে চলে এসেছিলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বারবার করে তার অপসারণের দাবি উঠেছিল। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সকলের একটাই বক্তব্য ছিল যে, তিনি প্রমাণ লোপাটের কাজ করেছেন। যে ঘটনা ঘটেছে, তাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। পরবর্তীতে তাকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হলেও, অন্য কোনো পদে সু-কৌশলে বসিয়ে দিয়েছে রাজ্য বলেই অভিযোগ। এমনকি তার ভূমিকা নিয়েও বারবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে। আর আজ কলকাতার বর্তমান পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার নেতৃত্বে যেভাবে পুলিশ নবান্ন অভিযানে লাঠিচার্জ করলো, তাকে রীতিমত বর্বরোচিত বলেই আখ্যা দিচ্ছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই সেই লাঠি আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অভয়ার মা। আর তাকে দেখে বাইরে বেরিয়ে এসেই কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনের বিনীত গোয়েল এবং বর্তমান পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, এদিন পুলিশের লাঠি আঘাতে আহত হন অভয়ার মা। ইতিমধ্যেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকে বেরিয়ে এসেই পুলিশ আজকে যেভাবে লাঠিচার্জ করেছে এবং নবান্ন অভিযানে যেভাবে বাধা দিয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বর্তমান পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। এক্ষেত্রে অভয়ার পরিবার যেভাবে নাছোড়বান্দা হয়ে আদালতে লড়াই করছে, তাতে আসল সত্যি বেরিয়ে যেতে পারে। আর সেই কারণেই এই লুকোচুরি চলছে বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আসল কথা হচ্ছে, বিনীত গোয়েলকে বাঁচাতে চান মনোজ বর্মা। আরও যদি খারাপ কিছু ভাষা থাকে, তাহলে মমতা পুলিশের ক্ষেত্রে যথাযথ হবে। আমি বলছি, এরা এই দুইজন সাক্ষীকে খতম করতে চেয়েছিল। যাতে এই কেসটা ক্লোজ হয়ে যায়। কারণ ওরা খুব ভীত, আতঙ্কিত। অভিজিৎ সরকারের মামলায় পরেশ পাল, স্বপন সমাদ্দারের পরিণতি দেখে নারকেলডাঙ্গার ওসির জেলে যাওয়া দেখে ওরা ভাবছেন যে, অভয়ার মা-বাবা যেভাবে লেগে রয়েছেন, যেভাবে নাছোরবান্দা লড়াই করছেন, তাতে এরা ভীষণ চিন্তিত।”

Exit mobile version