প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গোটা দেশের মধ্যে প্রথম এসআইআর হয়েছিল বিহারে। আর তা নিয়ে নানা চর্চা হয়েছিল। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার পর আজ সকলের নজর রয়েছে সেখানকার ফলাফলের দিকে। বিরোধী মহাজোট এতটাই আত্মপ্রত্যয়ী ছিল যে, তারা গণনার আগেই হয়ত ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে, এরকম একটি ভাব তাদের নেতারা দেখাতে শুরু করেছিলেন। তবে গণনার একেবারে শুরুতেই সেই বিরোধী মহাজোট, বলা ভালো, তেজস্বী যাদবরা যে ধাক্কাটা খেয়ে গেলেন, তাতে শেষ পর্যন্ত তাদের এই ধাক্কা নিয়ে তারা কতদূর পরিস্থিতি সামলে রাখতে পারেন, তার দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। কি পরিস্থিতি বিহারের নির্বাচনী ফলাফলের?
আজ সকাল থেকেই গোটা দেশবাসীর নজর রয়েছে বিহার বিধানসভা কেন্দ্রের গণনার দিকে। প্রচারে বহু ঝড় উঠেছে। বিজেপি বিরোধী মহাজোট দাবি করেছে যে, এবার তাদের ক্ষমতা দখল করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এমনকি অনেকে ভেবেছিলেন, যেহেতু বিহারে দীর্ঘদিন ধরে নিতীশ কুমার ক্ষমতায় রয়েছেন, ফলে প্রতিষ্ঠান বিরোধী একটা হাওয়া হয়ত তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। কিন্তু সেই সমস্ত ভাবনা, চর্চাকে কার্যত ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে বিহারের গণনা শুরু হতেই পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে থাকলো এনডিএ শিবির। অর্থাৎ নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ পোস্টাল ব্যালটে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিরোধী জোট অর্থাৎ আরজেডির থেকে। আর গণনার একদম শুরুতেই এই ট্রেন্ড বলে দিচ্ছে যে বেলা বাড়লে ফলাফল কোন দিকে যেতে পারে স্বাভাবিকভাবেই পোস্টাল ব্যালটের এই ফলাফল সামনে আসার পর গোটা আরজেডি শিবির তো বটেই, বিজেপি তথা এনডিএ শিবির যথেষ্ট উচ্ছ্বাস শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, এদিন বিহারে পোস্টাল ব্যালট দিয়েই গণনা শুরু হয়। যেখানে একেবারে প্রথম ধাপে এগিয়ে রয়েছে নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ। কিন্তু যে বিরোধী মহাজোট এত হম্বিতম্বি করেছে, যারা ক্ষমতা দখল করার ব্যাপারে কার্যত ভোটের আগেই কনফিডেন্স ছিল, তাদের কি অবস্থা? জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ এগিয়ে রয়েছে ৫৩ টি আসনে। অন্যদিকে আরজেডি অর্থাৎ তেজস্বী যাদবদের দল এগিয়ে রয়েছে ৩০ টি আসনে এবং অন্যান্যরা এগিয়ে রয়েছে ৫ টি আসনে। আর সকালটা যেভাবে এনডিএ শিবিরের পক্ষে সুখকর বলে শুরু হয়েছে, তাতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিহার যে গেরুয়াময় হয়ে যেতে চলেছে এবং বিরোধী মহাজোটকে পেছনে ফেলে দিয়ে ফের নীতীশ কুমার যে বিহারে ক্ষমতায় বসতে চলেছেন এবং বিজেপি তথা এনডিএর যে আরও শক্তি বৃদ্ধি হতে চলেছে গোটা দেশজুড়ে, তাতে এক প্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
