Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বীরভূম এবার হাতছাড়া তৃণমূলের! অবশেষে ফাইনাল খেলাটা খেলে দিলো বিজেপি!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– গোটা রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতায় আসার পর যদি সব থেকে ভালো কোনো জেলার সংগঠন তৃণমূলের পক্ষ থেকে থাকে, তাহলে তা ছিল বীরভূম। কিন্তু এখন সেই বীরভূমই সবথেকে বেশি খবরের চর্চায় রয়েছে। আর সেটা তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত অস্বস্তিজনক। অনুব্রত মণ্ডলের মত গুণধর নেতা এমন সমস্ত কাণ্ডকলাপ ঘটিয়েছেন যে, এত বড় অপরাধ করার পরেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না! আর সেই বিষয় নিয়ে যখন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ছে, ঠিক তখনই ফাইনাল খেলাটা খেলে দিল বিজেপি। ধীরে ধীরে যে বীরভূমে তৃণমূলের এত শক্তিশালী সংগঠন ছিল, সেই বীরভূমের সংগঠনের থাবা বসাতে শুরু করলো গেরুয়া শিবির।

জানা গিয়েছে, এদিন বীরভূমে বড় মাপের ধাক্কা খায় তৃণমূল। যেখানে সাঁইথিয়াতে ১৫০ টি পরিবার যোগদান করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তাদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। আর এখানেই প্রশ্ন, হঠাৎ করে বীরভূম জেলা রাজনীতিতে হলোটা কি? যে অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম জেলার এক সময় হর্তাকর্তা ছিলেন, সেই সময় তো প্রত্যেকদিন বিরোধী শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান হত। আর সেই অনুব্রত মণ্ডল বিতর্কের মুখে পড়তেই এবং বীরভূম জেলায় তৃণমূলের অন্দরমহলে গোলযোগ শুরু হতেই কেন পাল্টে যাচ্ছে খেলা? তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া কার্যত অপ্রাসঙ্গিক জেলা তৃণমূল?

বিজেপির দাবি, মানুষ তৃণমূলের ওপর বিরক্ত। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই মানুষ সাহস করে বিজেপিতে যোগদান করছেন। অনুব্রত মণ্ডল একজন গুন্ডা নেতা। মানুষের ওপর এতদিন ধরে বীরভূম জেলায় যে অত্যাচার তৃণমূল করেছে, এবার তারা তার ফল পেতে শুরু করেছে। আগামী দিনে এই বীরভূম জেলায় একটি আসনেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করতে পারবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মনে আবার সংশয় তৈরি হয়েছে যে, অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম জেলার এখন আর সভাপতি নেই। এখন তো তাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন আগে তৃণমূলের যখন নতুন কমিটি হলো, তখন তাকে শুধুমাত্র কোর কমিটির সদস্য রাখা হয়েছিল। যেখানে সদস্য পদে রয়েছেন তার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখও। ফলে দুই শিবিরের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিল। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই কি ঘুরিয়ে অনুব্রতবাবুই এই সমস্ত যোগদান করাচ্ছেন? তিনিই কি বিজেপির পাল্লা ভারী করিয়ে দলের কাছে বার্তা দিতে চাইছেন যে ,তাকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হলে বীরভূম জেলায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে তৃণমূল? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। ‌

Exit mobile version