প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ বা কলকাতা পুলিশকে বিরোধীদের কোনো কর্মসূচিতে বাধাদান করতে দেখা যায়। যখন নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে সোচ্চার হয় অভয়ার পরিবার, তখন অভয়ার মাকে বাধা পর্যন্ত দেয় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু এসআইআরের মত যখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে, যখন সিইও দপ্তরে গেটের সামনে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে তৃণমূলের কিছু নেতা অসভ্যতা চালাচ্ছেন, তখন কেন তাদের টেনে হিচড়ে সেখান থেকে বের করে দিতে পারলো না কলকাতা পুলিশ? কেন মনোজ বর্মার পুলিশ এক্ষেত্রে তাদের অতি সক্রিয়তা দেখালো না! সম্প্রতি এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাহলে কি সেই বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে যারা এই অসভ্যতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলেই তাদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলো? এই প্রশ্ন বিরোধীদের মধ্যে থেকে উঠতে শুরু করেছিল। আর এই ঘটনার পরেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিলো নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি রাজ্যের সিইও দপ্তরের বাইরে যে অসভ্যতা, বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে কিছু মানুষ করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কোথায় কলকাতা পুলিশ? কেন সিইও দপ্তরের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা নিরাপত্তা দিতে পারছে না? কেন সিইওকে এইভাবে আটকে রাখা হয়েছে? আর এর পেছনে তৃণমূল নেতারা রয়েছে বলেই কি কলকাতা পুলিশের সেই সাহস হচ্ছে না এদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার? যেভাবে বিরোধীদের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দিতে দেখা যায় এই রাজ্যের পুলিশ বা কলকাতা পুলিশকে, এক্ষেত্রে কেন তারা নিষ্ক্রিয়? এই প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারী তুলে দিয়েছিলেন। তবে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই কি এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাইলো নির্বাচন কমিশন?
সূত্রের খবর, এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে একটি চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি সিইও দপ্তরে যে অভিযান হয়েছে, যেভাবে গেটের সামনে দীর্ঘক্ষন বসেছিলেন বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে কিছু মানুষ, সেই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিলো। এমনকি রাজ্যের সিইও দপ্তরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিক ভাবেই সেই রিপোর্ট তলবের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা ঠিক কি জবাব দেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
