Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বদলে যাচ্ছে বোর্ড পরীক্ষা: বছরে দু’বার পরীক্ষার নতুন নিয়মে কী লাভ পড়ুয়াদের?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা। অফলাইন শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর অনলাইন পড়াশোনাও এখন বাস্তবতার অংশ হয়ে উঠেছে। জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) হাত ধরে আসছে আরও বড় এক পরিবর্তন—বোর্ড পরীক্ষার নতুন নিয়ম। এবার থেকে বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে পড়ুয়ারা পরীক্ষার চাপে না ভোগে। সম্প্রতি এবিপি লাইভ আয়োজিত ‘স্মার্ট এডুকেশন সামিট ২০২৫’-এ এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এই নতুন ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হল ছাত্রছাত্রীদের মানসিক চাপ কমানো এবং তাদের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া। বছরে দু’বার পরীক্ষার ফলে পড়ুয়ারা দুটি পরীক্ষার মধ্যে যেটিতে ভালো ফল করবে, সেটিকে চূড়ান্ত ফল হিসেবে গণ্য করা হবে। এতে যদি প্রথম পরীক্ষায় কেউ খারাপ করে, দ্বিতীয়বার সে নিজের ভুল শুধরে ভালো নম্বর অর্জনের সুযোগ পাবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সিবিএসই (CBSE) বোর্ড দশম শ্রেণির পরীক্ষায় এই নিয়ম চালু করতে চলেছে।

ধর্মেন্দ্র প্রধান এও জানান, শিক্ষার্থীরা বছরভর ক্লাস, প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন মূল্যায়নে ব্যস্ত থাকে। এর মাঝেই একবারের বোর্ড পরীক্ষা তাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ ফেলে। সেই চাপ কমাতেই এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেন, জাতীয় শিক্ষানীতির লক্ষ্য শুধু শিক্ষাদান নয়, বরং দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে তোলা, যাতে তারা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমেই ভবিষ্যতের ভারতকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।

শিক্ষামন্ত্রীর মতে, নতুন শিক্ষানীতি ভারতের তরুণ প্রজন্মকে শুধু চাকরিপ্রার্থী নয়, বরং ‘জব ক্রিয়েটর’ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। একটি প্রগতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে দরকার উদ্ভাবনী মানসিকতা ও বাস্তবিক দক্ষতা। সেই লক্ষ্যেই শিক্ষানীতিতে একাধিক সংস্কার আনা হচ্ছে। বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষার মতো উদ্যোগ তারই একটি অংশ, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা এবং প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এই পরিবর্তন নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের ভারত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল।

Exit mobile version