Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

২৬ এর নির্বাচনের আগেই বঙ্গ বিজেপির নয়া টিম, শমীকের নেতৃত্বে গুরু দায়িত্বে কারা? জেনে নিন!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর মাইলেজ পেয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা। তবে রাজ্য সভাপতির নির্বাচন প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেও, নয়া রাজ্য সভাপতির যে রাজ্য কমিটি হবে, সেখানে কারা কারা জায়গা পাবেন, তা নিয়ে চর্চা ছিলই। আর সেসবের মধ্যেই যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির যে নয়া কমিটি হতে চলেছে, সেখানে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন পুরনো মুখেরাই।

ইতিমধ্যেই বিজেপি সর্বভারতীয় চাণক্য বলে পরিচিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। দায়িত্ব পাওয়ার পর শমীকবাবুর অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পেছনে যে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন এবং তাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক রণকৌশল নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত একাংশ। তবে বিজেপির যারা কর্মী সমর্থক যে সমস্ত পুরনো মুখেরা এতদিন অভিমান করে বসেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরোনো, নতুন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করায় যে চ্যালেঞ্জ নয়া রাজ্য সভাপতির কাছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই শীর্ষস্থর থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই নতুন কমিটিতে পুরনো মুখেদের যে বেশি গুরুত্ব দিতে চলেছেন শমীক ভট্টাচার্য এবং সেই মতই যে ঘোষণা হতে চলেছে কমিটি, সেই সম্পর্কে চলে এলো চূড়ান্ত খবর।

জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির নয়া কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এবার আরএসএসের অনুমোদনের জন্য সেই নতুন কমিটি পাঠানো হবে বলেই খবর। অর্থাৎ এতদিন রাজ্য সভাপতি নিয়ে একটা জল্পনা ছিলই। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হয়েছে। আর এবার সেই রাজ্য সভাপতির গঠন করা কমিটিতে কারা কারা থাকবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। তবে সেই গুঞ্জনের অবসান যে খুব দ্রুত হতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। আর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শমীক ভট্টাচার্য তার যে নতুন টিম তৈরি করবেন, সেখানে পুরনো মুখদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি নতুন মুখদেরও কতটা আধিক্য থাকে, কিভাবে ভারসাম্য বজায় থাকে সেই কমিটির, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

Exit mobile version