প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কখন কার সঙ্গে কথা বলছেন এবং তার দলের ভেতরে কি চলছে এবং প্রশাসনে তিনি কখন কি করছেন, তার সমস্ত খবর মাঝেমধ্যেই ফাঁস করে দেন। তিনি দাবি করেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশেপাশেই তার অনেক লোক রয়েছে। আর তারাই তাকে এই সমস্ত গোপন খবর দিয়ে থাকেন। তবে সামনেই যখন নির্বাচন যখন এসআইআরের প্রস্তুতি চলছে, যখন সেই এসআইআর আটকানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল মরিয়া হয়ে উঠেছেন তখন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে কখন কি হচ্ছে, তার সমস্ত খবর কি চলে যাচ্ছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে? কিন্তু সেই গোপন খবর তার কাছে পাচার করছে কে? আজ ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর সঙ্গে দেখা করে সেই তথ্য তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে সিইও দপ্তরকে পরিষ্কার করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এমন অনেক রয়েছেন, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাই এই অফিসকে নির্বাচনী স্বচ্ছতার জন্য পরিষ্কার করতে হবে। অনেক আধিকারিক রয়েছেন, যারা নিরপেক্ষতা সহকারে কাজ করছেন না। ফলে তাদের দিকে নজর দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আর আজ একেবারে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সিইও দপ্তরে ঘুঘুর বাসা রয়েছে এবং কোথায় কি হচ্ছে, তার সব তথ্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চলে যাচ্ছে, তা উল্লেখ করে এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কলকাতায় ডেপুটি নির্বাচন কমিশনের জ্ঞানেশ ভারতী সহ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। আর সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ে তারা তাদের দাবি এবং অভিযোগ জানানোর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিইও দপ্তরে থাকা এক আধিকারিক ফোন কলে কিভাবে কথা বলেন, সেই তথ্য ফাঁস করে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমরা বলেছি যে, আপনারা সিইও অফিসকে ক্লিয়ার করুন। কারণ সিইও অফিসে অরুন প্রসাদ বলে একজনকে আপনারা দিয়েছেন, যিনি মনোজ পন্থের ফোন থেকে ফেসটাইমে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ডেইলি কথা বলছেন। আমার কাছে ডকুমেন্ট প্রমাণ আছে। আমি যেদিন মিট করেছিলাম, আমি, জগন্নাথ চ্যাটার্জি এবং সঞ্জয় সিং, সেই দিনই সন্ধ্যা বেলা মনোজ পন্থের ফোন থেকে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ২০ মিনিট অরুণ প্রসাদ কথা বলেছেন। আমি সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি।”
