Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

CEO অফিসে তৃনমূলীদের অসভ্যতা? কোথায় নবান্ন অভিযানে অতিসক্রিয় কলকাতা পুলিশ? সোচ্চার শুভেন্দু!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল থেকেই এক আশ্চর্য জিনিস তৈরি হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। বিএলওদের সুরক্ষার দাবিতে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি নামে একটি মঞ্চ রাত ভর সেখানে অবস্থানে বসেছিল। তাদের একটাই দাবি যে, তাদের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। দীর্ঘক্ষণ ধরে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এইভাবে যে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, যে অসভ্যতা করা হয়েছে, তাতে এর পেছনে যে তৃণমূলের অনেক নেতা, নেত্রীরা রয়েছেন, তাতে নিশ্চিত ছিল বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এই কর্মসূচিতে কোনো বিএলওদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি বাস্তবে অনেক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা বিএলও সুরক্ষার দাবিতে যারা সিইও অফিসের গেটে আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেখানে হাতেগোনা তিন থেকে চারজন বিএলও রয়েছে, বাকি সমস্ত মানুষরাই তৃণমূলের নেতা-নেত্রী বলে তথ্য উঠে এসেছে। তবে সিইও দপ্তরের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই ধরনের অসভ্যতা চলছে। কিন্তু তারপরেও কেন চুপচাপ রয়েছে কলকাতা পুলিশ? কেন তারা নীরবতা পালন করছে? যখন তারা নবান্ন অভিযান হয়, তখন তো সেখানে অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। যখন এসএসসি দপ্তরের উদ্দেশ্যে অভিযান হয়, তখন তো মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন পুলিশের ভূমিকা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, এবার সেই বিষয় নিয়েই গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল থেকেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চলছে, বিএলও অধিকার সুরক্ষা কমিটির। তবে এই কমিটির পেছনে যে তৃণমূলের হাত রয়েছে এবং যারা বিক্ষোভ করছে, তাদের মধ্যে বিএলও বলে যে কেউ নেই, বেশিরভাগটাই যে তৃণমূলের নেতা নেত্রী, তা নিয়ে গতকাল থেকেই সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে, ঘন্টার পর ঘন্টা সিইওকে বেরোতে না দিয়ে তারা দরজার সামনে বসেছিলেন রাত পর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও কেন কলকাতা পুলিশ তেমনভাবে সক্রিয় নয়? যে পুলিশকে বিরোধীদের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দান করতে তৎপর হতে দেখা যায়, সেই রকম তৎপরতা, সেইরকম অতি সক্রিয়তা কেন এক্ষেত্রে দেখা গেল না? তাহলে কি তাদের কাছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সুরক্ষা লঘু হয়ে গিয়েছে; কারণ এটা তৃণমূলের কথামতো বিক্ষোভ হচ্ছে! তাই তাকে বেশি করে খবরের শোনা নামে পৌঁছে দিতে হবে, তার জন্যই কি পুলিশ তাদের কর্মসূচিকে এইভাবে প্রশ্রয় দিলো? সেই ভাবে তাদের তুলে দিলো না? যেটা বিরোধীদের কোনো কর্মসূচি বা কোনো প্রতিবাদীদের কর্মসূচিতে এই রাজ্যে পুলিশ বা কলকাতা পুলিশকে করতে দেখা যায়? সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সিইও দপ্তরে ঘন্টার পর ঘন্টা যেভাবে বিএলও সুরক্ষা অধিকার কমিটির নামে তৃণমূলের নেতা, নেত্রীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এবং যেভাবে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যেভাবে তাদের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “গতকাল থেকে যে অবস্থাটা সিইও অফিসের সামনে করেছে, এঢ়খনও সেখানে লিফটের সামনে, যারা নন বিএলও, তারা সেখানে বসে আছে। তৃণমূলের যারা নেতা, মইদুল, মনীশ, তারা বসে আছে। আর মনোজ বর্মা এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখার্জি, তাদের এতবার সিইও অফিস থেকে যোগাযোগ করার পরেও তাদের রিমুভ করা হয়নি। গতকাল যখন মধ্যরাত্রে উঠে গিয়েছিল যে এরা সেখানে গিয়েছে রেকর্ড বিকৃত করার জন্য তখন তমোঘ্ন ঘোষ, সজল ঘোষের নেতৃত্বে প্রচুর যুব, বিজেপি কর্মী, সাধারণ মানুষ সেখানে জড়ো হয়। তাদের কলকাতা পুলিশের বিরাট বাহিনী সেখানে আটকায়। অর্থাৎ মনোজ বর্মা ইন্দিরা মুখার্জি এবং পুলিশ ওয়েলফেয়ারের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে কোনো সাংবিধানিক বডির কোনো অস্তিত্ব নেই।”

Exit mobile version