Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

চাকরি দুর্নীতিতে মহা ফাঁপড়ে রাজ্য, তাই দৃষ্টি ঘোরাতেই সেনাকে আক্রমণ? খোঁচা সুকান্তর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২৬ এর নির্বাচনের আগে যেভাবে আদালতের নির্দেশে এসএসসিকে দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হলো, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অর্থাৎ এসএসসির এই তালিকা প্রকাশের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট যে, রাজ্য সরকার বা তৃণমূলের নেতারা যতই স্বচ্ছতা নিয়ে বড় বড় ভাষণ দিন না কেন, তারাই এবার পরোক্ষকে স্বীকার করে নিলো যে, টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। আর সেসবের মধ্যেই এবার হঠাৎ করেই দেখা যাচ্ছে যে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজ্যের একটা সংঘাতের আবহ তৈরি হচ্ছে। মেয়ো রোডের সেনাবাহিনী তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ খুলে নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তাদের আক্রমণ করেছেন, তাকে দেশবিরোধী বলে আখ্যা দিচ্ছে বিজেপি। গতকাল আবার সেনাবাহিনীর একটি ট্রাক আটকে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আর এই সমস্ত বিষয়ে হঠাৎ করেই কেন চলে আসছে! তাহলে কি সেনাবাহিনীর সঙ্গে এই সংঘাত আসলে অন্য বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা? এদিন সেই রকমই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সেনার সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত মারাত্মক আকার নিয়েছে। প্রথমে মেয়ো রোডে ধরনা মঞ্চ খোলার কারণে সেনাবাহিনীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। গতকাল আবার সেই সেনাবাহিনীর ট্রাক কলকাতা পুলিশ যেভাবে আটকে দিয়েছিল, তা আরও নতুন বিতর্ক উস্কে দেয়। তবে এই সমস্ত ঘটনা কিন্তু এমনি এমনি ঘটছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই যে বিষয় নিয়ে তারা অত্যন্ত চাপে রয়েছে, সেই বিষয় থেকে অন্য একটি বিষয় নিয়ে যাতে চর্চা হয়, সেই কারণেই এমন সমস্ত কাণ্ডকলাপ করছেন বলেই দাবি সুকান্তবাবুর। ঠিক কি বললেন তিনি?

এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলাম যে, এখন এইরকম অনেক ঘটনা ঘটবে। দেখবেন, তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করা হবে। সৌগত রায় এখন অসুস্থ আছেন। তা না হলে সৌগত রায় এবং মদন মিত্রের মধ্যেও দেখতেন গন্ডগোল লেগে যেত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিপদে পড়েন এবং কোনো জায়গা থেকে দৃষ্টি সরাতে হয়, তখন তার তরফ থেকে এই ধরনের চেষ্টা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এসব হচ্ছে। এখন দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য আর্মির গাড়ি আটক করা হচ্ছে।”

Exit mobile version